জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের দক্ষিরন দত্তেরচর গ্রামের আজমীরগঞ্জ রুহানি পাক দরবার শরীফের গদিনিশি সাইম নুরে খাজাকে মারধরের অভিযোগ প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন,দরবারের গদিনিশি সাইম নুরে খাজা,দরবারের ভক্ত গোলাম মোস্তফা,রমজান আলী ও দেলোয়ার হোসেন। লিখিত বক্তব্যে গদিনিশি সাইম নুরে খাজা বলেন,দরবারের তৃতীয় গতিনিশি ড.খাজা নাসিরুল্লাহ’র চলমান বছরের ২৩ সেপ্টম্বর ওফাত গ্রহনের পুর্বে তার ওসিয়ত অনুযায়ী গতিনিশির পদ গ্রহন করি আমি হযরত সাইম নুরে খাজা। পদে অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি মিলাদের জন্য ভক্তদের নিয়ে ৬ নভেম্বর সন্ধায় জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নে ভক্ত রমজানের বাড়িতে কাফেলা নিয়ে প্রস্ততি নেয়ে। পরে দরবারের কতিথ গদিনিশি খাজা তৌহিদুল্লাহ নেতৃত্বদল আমাদের কাফেলায় হামলা চালিয়ে ১০ জন নারী-পুরুষকে রক্তাক্ত করে। পরে তারাই আবার উল্টো মামলা ঢুকেদেন দেন আমাদের বিরুদ্ধে। তিনি এই অতর্কিত হামলা-মামলার সঠিক বিচার চান প্রশাসনের কাছে। এ ব্যাপারে খাজা তৌহিদুল্লাহ’র ভাই অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, দরবার শরীফের গতিনিশি ড.খাজা নাসিরুল্লাহ মারা যাওযার পর তার ভক্ততের সম্মতিক্রমে গতিনিশির দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন তার সহোদর ছোট ভাই খাজা তৌহিদুল্ল্। কিন্তু ওই গতিনিশির পদে তৌহিদুল্লাহকে মেনে নিতে পারছিলনা তাদের ভাতিজা সাইম নুরে খাজা (১৯)। তিনিও ওই গতি নিশির পদ পেতে প্রবল আগ্রহী ছিল। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে চলছিল বাকযুদ্ধ,যার ফলেই সংঘাতের সৃষ্টি হয়।