জামালপুর সদর উপজেলার মেস্টা ইউনিয়নের হাজিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম রিপন(৫৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার চান্দের হাওড়া এলাকার ঝিনাই নদীর কিনার থেকে ওই শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত শিক্ষক হাজিপুর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। মৃতের পরিবার সুত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে মমিনুল ইসলাম,বন্ধুদের সঙ্গে জামালপুরের মেলান্দহে রৌমারী বিলে নৌকা ভ্রমনে বেড়াতে যান। পরে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। পরে শুক্রবার সকালে চান্দের হাওড়া এলাকার ঝিনাই নদীর কিনারে মমিনুল ইসলামের লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা মৃত দেহটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এলাকার একজন প্রভাব শালীর নেতৃত্বে রৌমারী বিলসহ ঝিনাই নদীতে নৌকাতে ওয়ানটেনের জুয়ার আসর চলত। ওই আসরে বি়ভিন্ন জেলা থেকে জুয়ারীরা আসতো। ঘটনার দিন ওই আসরে মমিনুল ইসলাম রিপনসহ এলাকর আরও জুয়ারীরা ছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে মেলান্দহ থানা পুলিশ রৌমারী বিলে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে ১১ জুয়াড়িকে আটক করে। এ সময় জুয়ার আসর থেকে মমিনুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন জুয়ারী নদীতে যাপ দেন। পরে শুক্রবার সকালে ঝিনাই নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে।
আটককৃত জুয়ারীরা হলেন,জামালপুর পৌরসভার দড়িপাড়া এলাকার মৃত আফছার মন্ডলের ছেলে হেলাল মিয়া (৬০), বসাকপাড়া এলাকার সর্গীয় শ্রী রজনী দাসের ছেলে শ্রী সুকুমার দাস (৬৬), বাগেরহাট বটতলা এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক লিটন (৬০), জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা এলাকার মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে ওয়াদুদ মিয়া (৫৫), মাদারগঞ্জ উপজেলার মহিষবাতান এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিন মন্ডলের ছেলে খোরশেদ আলম (৫২), পৌরসভার দেওয়ানপাড়া এলাকার মৃত মুসলেম উদ্দিন এর ছেলে আব্দুল কদ্দুস (৫৫), জগনগর গ্রামের মৃত মোতালেব মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (৪৫), মেলান্দহ উপজেলার বীর ঘোষেরপাড়া গ্রামের হাবিজুলের ছেলে জগনু মিয়া (৩৫), টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের মৃত ছামান আলী মুন্সির ছেলে আব্দুস ছামাদ (৫২), মধুপুর উপজেলার আঙ্গিনাপাড়া গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে কাশেম মিয়া (৬০), ধনবাড়ী উপজেলার সুইজলকর গ্রামের মৃত ভ্রমর শেখের ছেলে টোকা মিয়া(৫০)।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, রৌমারী বিলে নৌকায় জুয়া খেলা হয় এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় জুয়ার আসর থেকে ১১ জনকে আটক করা হয় এবং অন্ধকারে বেশ কয়েকজন লাফিয়ে পালিয়ে যায়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জামালপুর সদর থানার ওসি তদন্ত নূর মোহাম্মদ বলেন,মৃতের পরিবার পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নাথাকায় ময়না তদন্ত চাড়াই তার লাশ দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।