ঢাকমঙ্গলবার , ১৮ জুলাই ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খেলা
  7. চাকুরীর খবর
  8. ফটোগ্যালারি
  9. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. বিবিধ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেওয়ানগঞ্জে যমুনা বহ্মপুত্র ভাঙ্গনে নেমেছে জিঞ্জিরাম

মোঃ সুমন ইসলাম
জুলাই ১৮, ২০২৩ ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

উজান থেকে নেমে আসার পাহাড়ে ঢোলে দেওয়ানগঞ্জের যমুনা – ব্রহ্মপুত্র- জিঞ্জিরাম নদীর পানি হু হু করে বাড়ায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে শত শত বসতভিটাসহ ফসলি জমি। আবার পানিবন্দী হয়ে আছে হাজারো মানুষ। গত ৫ জুলাই থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নদীগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ শুরু করেছে। সর্বশেষ ৩৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি প্রবেশ করেছে খাল বিল পুকুরসহ বিভিন্ন নিচু এলাকা। নদীগুলোতে তীব্র স্রোতের কারণে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। যমুনা ভাঙ্গনের উপজেলা চিকা জানি ইউনিয়নের মন্ডল বাজার এলাকার ১২০ পরিবারের একটি গুচ্ছগ্রাম এখন যমুনার গর্ভে। এছাড়াও বড়খাল মাঝিপাড়া সহ অন্যান্য এলাকার ফসলী জমি প্রতিদিন নদীতে যাচ্ছে। একইভাবে যমুনার কোরাল গ্রাসের শিকার চুুকাই বাড়ি ইউনিয়নের হালকা চরগুঁজিমারী বাদে শসা রিয়া বাড়ি এলাকা। থেমে নেই ব্রহ্মপুত্র নদীর তীব্র ভাঙ্গনের শিকার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ঝলর চর এলাকা। ইতিমধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার ফসলের জমি নদীতে গেছে। যেকোন সময় নদী গর্ভে চলে যাবে। ঝালর চর পশ্চিমপাড়া মসজিদটি। এছাড়াও হুমকি রয়েছে হাফিজিয়া মাদ্রাসা ঝালকচর বাজারসহ দেওয়ানগঞ্জ সানন্দ বাড়ি প্রধান সড়কটি। একই উপজেলা সীমান্তবর্তী জিনজি রাম নদীর ভাঙ্গন ও দুশ্চিন্তা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের গয়ের ডোবা, দক্ষিণ কাঁঠাল বিল, সাপমারি, ও সবুজপুর এলাকার শত শত হেক্টর ফসলে জমি ও বসতভিটা গ্রাস করেছে নদীটি। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, যমুনা ব্রহ্মপুত্র জিনজিরাম নদীর ভাঙ্গনের শিকার কয়েক শতাধিক ফসলী জমি। প্রায় ৩০০ পরিবার ভিটে হারা এবং পানি বন্দী আছে হাজারো মানুষ। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় নদীগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলার ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা চলছে। রুস্তম মিয়া জানান, যমুনা নদীতে এক দিনে আমার ছয়টি ঘরসহ বসত ভিটা গেছে। ছিন্নমূল হয়ে এখন জীবন যাপন করছি। স্থানীয় বাসিন্দা নাহিদ চৌধুরী জানান, ভাঙ্গনে মাত্রা প্রতি বছরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার অন্যতম কারণ শুকনো মৌসুমে ডেজারে উত্তোলন। পরবর্তী বছর নদী ভাঙ্গন রোধে অবৈধ ডেজারের বন্ধ করা খুবই জরুরী। তাই আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় নদীগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলা ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা চলছে। সেই সাথে নদীর সংরক্ষণের জন্য একটি সমীক্ষা চলমান রয়েছে।

এই সাইটে বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি