জামালপুরের ইসলামপুরে নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় হতাশ মো. নাঈম নামের এক শিক্ষার্থী। উপজেলার সিরাজাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সে।
পরিবারের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ আবদুল জব্বারের কারণে নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না নাঈম।
এদিকে নবম শ্রেণী রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় নাঈমের পিতা,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও ইসলামপুর প্রেসক্লাব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে শিক্ষার্থী মোঃ নাঈম এর পিতা সামিউল হক লিখেছেন,আমি অতি কষ্টে আমার পুত্র নাঈমকে লেখাপড়া করাইতেছি সিরাজাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর অধ্যায়নরত এবং নিয়মিত শিক্ষার্থী তার ক্লাসরোল ১০৭, শাখা-মানবিক।বিদ্যালয়ের সকল প্রকার বেতন পরীক্ষার ফিস ও যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করা পূর্বক আমার পুত্র নিয়মিতভাবে প্রত্যেকটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়া আসিতেছে।
পরে জানতে পারলাম আমার পুত্রের নবম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন হয় নাই। দুইবার আমার নিকট থেকে টাকা নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আমার পুত্রের নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে ! টাকা নিয়ে, প্রবেশপত্র দিয়ে, টেস্ট পরীক্ষা অংশগ্রহণ করালো তার অনিয়ম ও মনগড়াভাবে আমার পুত্রকে দশম শ্রেণীতে পরীক্ষা অংশগ্রহণে সুযোগ দেয় ওই অফিস সহকারী । উক্ত বিষয়ে অফিস সহকারী আব্দুল জব্বার এর নিকট জানতে চাইলে সে বিভিন্ন টালবাহানা করে এবং একপর্যায়ে আমাকে হুমকি ধামকি দেয়।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ময়নার সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী থাকায় দেখে দেখে স্বাক্ষর করা সম্ভব হয় না ২০২২ সালে অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, নবম শ্রেণীর হবে, টেস্ট পরীক্ষা কিভাবে দিলো বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন রেজিস্ট্রেশন, ফর্মফিলাপ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এখতিয়ার এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. তানভীর হাসান রুমানের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।