জামালপুরের মেলান্দহের নয়ানগরে নিহত মাছ ব্যববসায়ী মানিক মিয়ার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সুষ্ঠু করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভোক্তভোগি পরিবার।
সোমবার দুপুরে জামালপুর শহরের একটি মিডিয়া সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত মানিক মিয়ার স্ত্রী মুর্শেদা বেগম লিখিত বক্তব্যে জানান-“ তার স্বামী মোঃ মানিক মিয়া নয়ানগরে মাছের ব্যবসা করতেন। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়াকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মোঃ কাসেদ বেপারী, মোঃ কাসেম বেপারী, মোছাঃ পারভীন আক্তার, মোঃ সুলতানা পরী ও মোঃ বেলায়েত হোসেনের নামে মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।”
মুর্শেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন-“আমার স্বামীকে প্রকাশ্য দিবালোকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে তার স্বামীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে এই মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার স্বামীর পুনঃ ময়নাতদন্তের দাবি জানান।”
নিহতের পরিবারের অভিযোগ-“মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে তাদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ফলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সংবাদ সম্মেলনে নিহত মানিক মিয়ার স্ত্রী ও সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।