জামালপুরের ইসলামপুরে উপজেলার হাড়িয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাহাড় সমতুল্য অভিযোগ উঠেছে ।
স্কুল টি ১৯৬৬সালে স্হাপিত সুনামের সাথে পরিচালিত করেছেন সুদক্ষ শিক্ষকগন, বর্তমানে এতোই লাজুক পরিস্থিতি হয়েছে,যা ছাত্র ছাত্রীর পরি সংখানে বোঝা যায়। মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রধান শিক্ষক জানান প্রায় ২০০ জন ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ।
সোমবার (১৯ ই জুন) সকাল ৯,৩০ টা বিদ্যালয়ের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার ছাত্ররা অংশগ্রহণ করার জন্য যথা সময়ে স্কুলে যায়। বিভিন্ন সেশনের টাকা নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পরিক্ষা ফি অতিরিক্ত চাহিদা মোতাবেক না দেওয়ার কারণে অনেক পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারেন নি এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।সে পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার কিছু অভিভাবকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্ররা আর ও অভিযোগ করেন প্রধান স্কুলের জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করা।
আমরা যথারীতি মোতাবেক স্কুলের বেতন পরিশোধ করি কিন্তূ সে টাকা যাই কোথায়, আমরা এই গরমের মাঝে ক্লাস করতে পারি না, কারেন্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে, সরকারের অনুদানের সোলার প্যানেলের প্লেট গুলো শিক্ষকদের বাড়িতে নিয়ে ব্যাবহার করে,বইসহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি করে দেয়। আমাদের একটাই দাবি প্রধান শিক্ষকের অপসারণ করা হোক। যে সকল পরিক্ষার্থী অংশ গ্ৰহন করতে পারছে না, তাদের হল থেকে বের করে দেয় ,তখনি তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।এই বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি দেশের বাহিরে আছেন প্রধান শিক্ষক জানান। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র/ছাত্রীরা বলেন ১ছাত্র মোঃ আবু হাসেম (৯ম শ্রেনী) বলেন, আমার কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে ,২.বিজয় মিয়ার (৯ম শ্রেনী) বলেন আমার কাছে ২০২০ টাকা দাবি করেছেন। তার প্রমাণ আছে। অভিভাবক বলেন ১, মৌজা কাটা মোঃ মুকিত বলেন এই ভাবে আমাদের ছেলেদের লেখা পড়া করার টাকা সংগ্রহ করতে পারতেছি না ২, মোঃ হান্নান মিয়া একই কথা বলেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে এমন কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে বলে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি যাতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম রাখতে পারি এ আশা করি ,এলাকার অভিভাবকদের নিকট।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা বলেন,স্হানীয় প্রতিনিধি পার্থশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এই বিষয়ে সুরাহা করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের খবর পাইনি।
