ঢাকসোমবার , ৫ জুন ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খেলা
  7. চাকুরীর খবর
  8. ফটোগ্যালারি
  9. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. বিবিধ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জামালপুরে বিদ্যালয়ের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

Link Copied!

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার রুদ্র বয়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী লাভনী আক্তার বিদ্যালয়ের পাওনা পরিশোধ করতে না পেরে লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সকালে উপজেলার তারাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ি উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের মুদি দোকানদার লাল মিয়ার তিন মেয়ে। তাদের মধ্যে লাভনী আক্তার দ্বিতীয়। লাভনী রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। আগামী ৭ জুন তার অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষা দিতে লাভনীকে ২ হাজার ২ শ টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়।
এর আগে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি করা টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থীকে অপমান-অপদস্ত হতে হয়েছে এ কারনে সোমবার সকালে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি করা টাকা না নিয়ে বিদ্যালয়ে যাবে না বলে বায়না ধরে লাভনী। পরে তার বাবা-মা অর্ধেক টাকা জোগাড় করে দিলেও কর্তৃপক্ষের কাছে লজ্জা পাওয়ার ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে রাজি হয়নি লাভনী। পরে পরিবারের লোকজন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ার সুযোগে বসত ঘরের ধর্নার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে লাভনী।
তারাকান্দি গ্রামের হাবু মিয়া বলেন, রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোন বিষয়ে এক টাকাও কম নেন না। তার কাছে কোন অনুরোধই কাজে আসে না।
ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী অভিভাবক উজ্জল মিয়া বলেন, তার মেয়ের বেতন দিতে একদিন দেরি হয়েছিল। এ কারনে তার মেয়েকে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে লাভনী আক্তারের মা ফাহিমা বেগম বলেন, অর্ধেক টাকা জোগাড় করে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তার মেয়ে ভয়ে সে টাকা নিয়ে স্কুলে যায়নি। পরে ঘরের ধর্নার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে পোগলদিঘা ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, বেতন দিতে না পারায় লাভনী আত্মহত্যা করেছে।
রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বাছেদ বলেন, বিদ্যালয়ের পাওনা আদায়ের জন্য কোন শিক্ষার্থীকে চাপ দেওয়া হয় না। কোন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে থাকলে সেটা হয়তো অন্য কোন বিষয় করেছে।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ মোহব্বত কবীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এই সাইটে বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি