জামালপুর সদর উপজেলার তুলশীরচর ইউনিয়নের কাজিয়ারচর এলাকায় বিষ প্রয়োগে ১ একর ৪০ শতাংশ জমির ফসল (পাট) নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ কাজিয়ারচর এলাকার মোঃ রুস্তম আলীর পুত্র মোঃ আকাব্বর আলীর বিরুদ্ধে। আকাব্বর আলী,গুঠাইল কলেজের শিক্ষক রেহেনা হোসনা মনির সাবেক বর্গাচাষী। মনির গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার কাজিয়ারচর এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ মে সকালে। এই ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় ওই দিনই মনির বর্তমান বর্গাচাষী লেবু মিয়া বাদী হয়ে আকাব্বার আলীসহ ৯ জনকে বিবাদি করে এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহার সুত্রে জানাগেছে, রেহেনা হোসনা মনিদের ডিগ্রিরচর মৌজার বিআরএস ৩৯৬ নং খতিয়ান ভূক্ত ৬৫৪ নং দাগের ১ একর ৪০ শতাংশ জমি, এক সময়ে এলাকার আকাব্বর আলী নামের ব্যক্তি বর্গাচাষ করতো। কিন্তু রেহেনা হোসনা মনি শিক্ষকতার সুবাদে জামালপুরে অবস্থান করেন। এ সুযোগে তার ক্ষেতের ফসল ঠিকমতে বুঝিয়ে দিতেননা ব্গাচাষী আকাব্বর আলী। পরে রেহেনা হোসনা মনি জমি ফিরিয়ে নিয়ে এলাকার লেবু মিয়া ও লাল মিয়ার কাছে বর্গাচাষ দেন। এ ব্যাপারে লেবু মিয়া বলেন, জমি বর্গা নাপেয়ে ক্ষোভে আকাব্বর আলী ঘটনার দিন তার দলবল নিয়ে আমার বপন করা পাট ক্ষেতে ক্ষতিকারক কীট নাশক ছিটাতে থাকে। পরে আমি এতে বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ওরা ওই জমিতেই পুতে ফেলার হুমকী দেন এবং এ ঘটনায় কোন মামলা হলে আমাকে সহ আমার ভূমি মালিককে খুন করে গুম করার হুমকী দেন তারা। পরে বেগতিক এই অবস্থায় লেবু মিয়া বাদি হয়ে আকাব্বর আলীকে প্রধান করে ৯ জনকে আসামী করা হয়। লেবু মিয়া তার জমির প্রায় তিন লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিপূরণসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান প্রশাসনের কাছে। এব্যাপারে শিক্ষক রেহেনা হোসনা মনি বলেন, ওই জমিকে কেন্দ্র করে এর আগেও আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারপিট,বাড়ি – ভাংচুর ও গহনা,টাকা,পয়সা,লোট-পাটের ঘটনা ঘটিয়েছিল আকাব্বর নেতৃত্ব দল। ওই ঘটানার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা চলমান আছে এবং পিবিআই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। এতেই তারা ক্ষান্ত নাহয়ে ঘটনার পুনরাবৃত্তি করায় প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি জানান মনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আকাব্বর আলীর সহোদর ভাই আক্রাম হোসেন জানান, জমি নিয়ে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্য সাতটি মামলা চলমান। এরা কারো কথা শুনেনা। এ ব্যাপারে তুলশীরচর ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ বলেন, জমি নিয়ে ওই বিষয়ে কয়েকবার দেনদরবার হয়েছে কোনভাবেই এটার মিমাংসা দেয়া যাচ্ছেনা,তারা আইনের মাধ্যমেই আসুক।
বারুয়ামারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের উপ-পরি দর্শক এসআই মজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন করেছি দেখা যাক কিরা যায়।