দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে আইন না মানার অভিযোগ। আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও (ইউজিসি) তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ সমস্যা সমাধানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। এরই মধ্যে খসড়া হয়ে গেছে। এতে ইউজিসির ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
নতুন আইনে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অনিয়ম করলে ইউজিসি সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকছে। নতুন আইন অনুযায়ী পাঠদান শুরুর আগেই উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের পাশাপাশি ট্রাস্টি বোর্ডে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে ইউজিসির মনোনীত দুইজন শিক্ষাবিদ থাকবেন। এ ছাড়া মহাসড়কের পাশে কোনো ক্যাম্পাস করা যাবে না বলে নতুন আইনে উল্লেখ রয়েছে।
ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, সংশোধনী অনুযায়ী দেশ-বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিলিয়ে নাম রাখা যাবে না। জেলা, শহর, বিভাগ বা দেশের নাম বা আন্তর্জাতিক শব্দটি ব্যবহার করে নাম প্রস্তাব করা যাবে না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, আইনের সংশোধনী আনার উদ্যোগ ভালো। তবে তা আলোচনার মাধ্যমে করা উচিত।
দেশে বর্তমানে ১১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলো পরিচালনায় সবশেষ ২০১০ সালে আইন প্রণয়ন করা হয়।