ঢাকমঙ্গলবার , ২৮ মার্চ ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খেলা
  7. চাকুরীর খবর
  8. ফটোগ্যালারি
  9. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. বিবিধ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীর আশংকাজনক মাত্রার সহিংসতার প্রতি জাতিসংঘের হুশিয়ারি

বার্তা কক্ষ
মার্চ ২৮, ২০২৩ ১:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্রমাগতভাবে অস্বীকার করা সত্ত্বেও, তাদের নিপীড়ন থেকে বেঁচে ফিরে আসা ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সম্প্রতি ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানিয়েছেন, গ্রামগুলোতে হামলা চালানোর সময় সৈনিকরা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে আসা প্রতিরোধ দমনে “পরিকল্পিতভাবে কৌশলগত বল প্রয়োগ” করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া, নির্যাতন, ধর্ষণ ও ব্যাপক হারে হত্যা।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদকে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার পরিস্থিতি বিষয়ে অবহিত করেন বিশেষ দূত নোয়েলিন হেইজার। এ সময় তিনি জানান, ১ ফেব্রুয়ারি জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর পর থেকে সামরিক জান্তা, আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ, বেসামরিক ব্যক্তিদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া এবং অন্যান্য “গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে তাদের জবরদস্তি বাড়িয়েছে। আর ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা এগুলো করছে”।

বিশেষ দূত আরো জানান, ৪৭টি জনপদে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে এবং জান্তা তাদের প্রতি বিশ্বস্ত বলে পরিচিত নাগরিদের অস্ত্রসজ্জিত করছে।

.এ ধরনের নৃশংসতা ঠেকাতে, যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার সামরিক জান্তার ওপর নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এবারের বিধিনিষেধের লক্ষ্য হলো, সামরিক বাহিনীর জেট জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেশটির মিত্র দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক জান্তার সঙ্গে সংযুক্ত ২জন ব্যক্তি ৬টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতি অনুযায়ী; যাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর জন্য জেট জ্বালানি আমদানি, সংরক্ষণ ও তাদের কাছে সরবরাহ করে নৃশংসতা চালিয়ে যেতে(সামরিক জান্তাকে) সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে, তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।

জুম-মাধ্যমে নেয়া সাক্ষাৎকারে ন্যাশনাল ইউনিটি গভার্নমেন্ট-এর (জাতীয় ঐক্য সরকার) মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী অং মিও মিন ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান, সামরিক জান্তা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর, গত ২ বছরে অন্তত ৬৪টি গণহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে জান্তা। যেগুলো পরিচালিত হয়েছে ৫ জন বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যার মানুষের দ্বারা। মিনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গণহত্যা হচ্ছে জান্তার একটি কৌশল, যার মাধ্যমে “নিজ দেশের বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালানো হয়”।

তিনি আরো জানান, “এসব হত্যাকাণ্ড সামরিক বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ”।

এনইউজি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পরিচালিত মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্ত সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছে। তারা, শুধু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ নয়, মিয়ানমারের সকল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জান্তাবিরোধী সংগঠনের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানায়।

এই সাইটে বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি