লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় ও প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যার আট বছর পরও কার্যকর হয়নি বিচারের রায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতায় পালিয়েছে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা। রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ স্বজনরা। প্রকাশক ও লেখকরা মনে করছেন, মৌলবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী এখনো তৎপর। অর্জিত হয়নি স্বাধীন মত প্রকাশের পরিবেশও।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। অমর একুশে বইমেলা থেকে বেরিয়ে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের গেটের কাছে হামলার শিকার হন লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়। সেই রাতেই হাসপাতালে মারা যান অভিজিৎ। গুরুতর আহত তার স্ত্রী বন্যা দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর সেরে ওঠেন।
২০২১ সালে অভিজিৎ হত্যা মামলায় আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এসব অপরাধী নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনও একই বছর জঙ্গি হামলায় নিহত হন। ২০২১ সালে দীপন হত্যায় অভিযুক্ত আট আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। মামলাগুলো বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন। তবে, গত নভেম্বরে ঢাকার আদালত চত্বর থেকে পালায় অভিজিৎ ও দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি।
এসব হত্যার রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ স্বজনরা। লেখক পাঠকরা বলছেন, এখনো তৎপর মৌলবাদি গোষ্ঠী।
আর স্বাধীন মত প্রকাশের পরিবেশও অর্জিত হয়নি বলে মনে করছেন মুক্তচিন্তার চর্চাকারীরা।