ঢাকমঙ্গলবার , ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খেলা
  7. চাকুরীর খবর
  8. ফটোগ্যালারি
  9. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. বিবিধ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ১৮০০ ছাড়িয়েছে

বার্তা কক্ষ
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩ ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ১৮০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই নিহত হয়েছে ১ হাজার ১২১ জন। আর সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার (আফাদ) বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, তুরস্কের স্থানীয় সময় সোমবার (৬ জানুয়ারি) ভোরে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তুরস্কে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ১২১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৬৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আর সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে।
এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, দক্ষিণ তুরস্ক ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর উদ্ধার অভিযান চালাতে দেশ দুটির কর্তৃপক্ষকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষত তুরস্কে প্রচণ্ড শীতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, বাজে আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোয় যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সাইপ্রাস, লেবানন ও মিসরেও অনুভূত হয়েছে ভূকম্পন। সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, ভারত ও ইসরায়েল।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে শিক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।
মার্কিন ভূ-তাত্তিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির উৎস ছিল ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ১৫ মাইল গভীরে। স্থায়িত্ব ছিল এক মিনিটেরও বেশি। ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর অর্ধশত আফটার শক অনুভূত হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েটির মাত্রা ছিল ৬ ।
গত এক শ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে রাজধানী আঙ্কারাসহ কেঁপে ওঠে তুরস্কের অন্যান্য শহরও। মুহূর্তেই ধসে পড়ে অসংখ্য ভবন। ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে বহু মানুষ। প্রথমে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এর পর সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে প্রাণহানির সংখ্যা।
উদ্ধার ও যথাযথ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোঁয়া। ৪ মাত্রার সতর্কতা জারি করে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে আঙ্কারা।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সইলু বলেছেন, এটা ভয়াবহ ভূমিকম্প। আমাদের সব কর্মকর্তা এখন কাজ করছেন। নিরাপত্তাবাহিনী, তুর্কি আর্মড ফোর্স, রেড ক্রিসেন্ট, ডিজাস্টার অ্যান্ড ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট, সবাই মিলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
এরই মধ্যে তুরস্কে সহায়তা পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ভূকম্পন অনুভূত হয় সিরিয়া, সাইপ্রাস ও লেবাননেও। সিরিয়াতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরুর পর, একে একে বেরিয়ে আসে মরদেহ। ধ্বংস্তূপের নিচে অনেকে আটকা পড়ায় হতাহত বাড়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি ডিটেনশন সেন্টারে কিছু বাংলাদেশি রয়েছে। তাদেরসহ ওই এলাকায় কোনো বাংলাদেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তার খোঁজখবর নিচ্ছে আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস। টেলিফোনে এ কথা জানিয়েছেন দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই এলাকায় এক বাংলাদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে।
এর আগে, তুরস্কে ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ যায় ৩০ হাজার মানুষের। আর ১৯৯৯ সালে তুরস্কের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মৃত্যু হয় ১৮ হাজার মানুষের।

এই সাইটে বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি