লিটারে ১২ টাকা দাম বৃদ্ধির খবরে বাজারে মিলছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। তবে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল কিনতে।
এদিকে মূল্যবৃদ্ধির পরও মিলছে না খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, আরেক দফা দাম বাড়াতেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে সরবারাহকারী প্রতিষ্ঠান।
দাম বাড়ার খবরে বাজারে রাতারাতি মিলছে নতুন দামের সয়াবিন তেল। বোতলজাত কিংবা খোলা, সংকট নেই কোনও পণ্যেই। তবে সরকারি নির্দেশনার পরও বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে খোলা সয়াবিনের জন্য। যার পুরো দায়টাই সরবরাহকারীদের ওপর চাপালেন খুচরা বিক্রেতারা।
দ্রব্যমূল্যের বাড়তি দরে পিষ্ট ক্রেতার কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলছে নতুন দাম। কম খেয়ে কম কিনে দিন পার করা ছাড়া গতি দেখছেন না ভোক্তা সাধারণ। সংসার চালাতে হিমশীম ক্রেতার দীর্ঘশ্বাস ক্রমশই বাড়ছে।
এক বিক্রেতা বলেন, সরকারের রেট ১৭২, আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ১৭৫। তবে খোলা সয়াবিন তেলের দামটা একটু বাড়তি।
এক ক্রেতার ভাষায়, তিনি বাজারে ৬০ টাকা এনে তেল কেনার পর তার ফিরেছে ৪০ টাকা।
তেলের দাম বৃদ্ধিতে আরেক ক্রেতা বলেন, যেখানে আমরা ৩ বেলা খেতাম, সেখানে আমাদের এখন ২ বেলা খেতে হবে।
অন্য এক ক্রেতা বলেন, যেভাবে জিনিসের দাম বাড়ছে, তাতে সাধারণ জনগণের মরা ভালো।
টিসিবির তথ্য বলছে, গেল এক মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ। আর বছর ব্যবধানে সাড়ে ২৪ ভাগ। চিনির বেলায় মাসের ব্যবধানে ১৭ ভাগ খরচ বাড়লেও বছর ব্যবধানে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৪৫ শতাংশ বাড়তি অর্থ।
তবু বাজারে দেখা মিলছে না নতুন দরের চিনি। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, আরেক দফা বাজার অস্থিতিশীল করতে তৎপর সিন্ডিকেট।
খুচরা বিক্রেতা বলেন, চিনির নতুন রেট আছে। তবে তা এখনো বাজারে আসেনি। কিছু খোলা চিনি আছে। কিন্তু সবাই পাচ্ছে না।
আরেক বিক্রেতা জানান, ১০৮ টাকায় চিনি এনে ১১০ টাকায় বিক্রি করে পোষাতে না পেরে তারা আর আনেন না।
এদিকে, মাসের ব্যবধানে ৩ শতাংশ দাম বেড়েছে লবণেরও। যার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।