তুরাগ দিয়াবাড়ি বি আর টিএ মেট্রো সার্কেল ৩, কিছু কর্মকর্তার কাছে জিম্মি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি অফিসে বসে দালাল কাজ করছে এমন চিত্র মিলে এখানে। খোলামেলাভাবে টাকা লেনদেন চলছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দালাল ছাড়া কোনক্রমে মিলবে না লাইসেন্স। আশেপাশের চায়ের দোকান, হোটেল ব্যবসায়ী, কম্পিউটার কম্পোজ দোকান, ডাবের দোকান দিয়ে ভিন্ন কৌশলে দালালচক্র এখানে একটি বিশাল গ্রুপ তৈরি করেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, লাইসেন্স বিভাগের পরীক্ষা নেওয়ার সময় লার্নার কার্ডের মধ্যে একটি বিশেষ চিহ্ন দেওয়া থাকে। যা সহকারী অফিসার ইন্সপেক্টর কে বুঝিয়ে দেয়া হয়। যে সকল লার্নার কার্ডে চিহ্ন দেওয়া থাকে না, তাকে বিভিন্ন কৌশলে হয়রানি করা হয়। হাশেম নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি একটি মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে দিয়েছি প্রায় দুই বছর আগে। আমি ফিঙ্গার দেওয়ার সময় দেখি হাশেম এর জায়গায় হাশেম মিয়া লেখা কিন্তু ছবি আমার। বিষয়টি আমাকে মিরপুর থেকে দিয়াবাড়ি পাঠালে আমি এখানকার একজন অফিসার কে বললাম, তিনি খরচ না দেওয়া ছাড়া কোনোভাবেই ঠিক করে দিবে না। আমি বললাম আমার ভোটার আইডি কার্ডে তো আমার নাম ঠিকানা আছে তাহলে ভুল করলেন আপনি আর টাকা দিব আমি। কে নিয়ে তর্ক করেও কোন লাভ হয়নি। আর এই চোখের মূল হোতা লাইসেন্স বিভাগের ইডি ইমরান। তিনি তুরাগ বি আর টি এতে প্রায় তিন বছরের অধিক সময় কাজ করে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগে ফিটনেসের বিভাগের ইডি হলেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে পোস্টিং হওয়ার কথা। কিন্তু ইমরান তার ইচ্ছা মতোই যেখানে খুশি সেখানে ম্যানেজ করে যাচ্ছেন। নিজের ছেলে-মেয়েকে বাহিরে পড়াশোনা করাচ্ছে বলেও জানা যায়। ফিটনেস বিভাগের থাকাকালীন অবস্থায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের তার অপকর্মের মুখোশ খুলে দিলে ইন্সপেক্টর সৌরভ বান্দরবান পোস্টিং হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ইমরান থেকে যায়। পরবর্তীতে তিনি লাইসেন্স ইডি হিসেবে দিয়াবাড়ি বসেন। কেন ? কেন ইমরান এই মধুর দিয়াবাড়ি হতে যেতে চাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে লাইসেন্স এর ইডি ইমরানের সাথে কথা বলতে চাইলে অফিস চলাকালীন অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে হেড অফিসে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনার সততা প্রমাণ হলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।