সিলেটের বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষ ত্রাণ পেলেও, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় প্রত্যন্ত গ্রামে ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না।
শহর এলাকায় অনেকেই ত্রাণ দিচ্ছেন, তবে সেখানেও নেই কোনো সমন্বয়। কেউ একাধিকবার ত্রাণ পাচ্ছেন, আবার কেউ একবারও পাননি।
সিলেটের বন্যা দূর্গত এলাকার পথে পথে এখন দেখা মেলে অসংখ্য অসহায় মুখ। সবাই খাবার চায়, পানি চায়, ওষুধ চায়। গাড়ির আওয়াজ শুনলেই ছুটে আসেন ত্রানের আশায়।
কখনো মেলে, কখনো মেলে না। এই হলো এখন বানভাসি মানুষের প্রতিদিনের যাপিত জীবনের চালচিত্র। তাদের কথায়, পানি না নেমে যাওয়া পর্যন্ত বেঁচে থাকাই আসল কথা।
এই সময়টায় সবচেয়ে জরুরি ছিলো যে টুকু ত্রাণ আছে সেটি যতো বেশি সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছানো। আর প্রশাসনও জানাচ্ছে, তাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে।
কিন্তু ত্রাণ থাকলেও স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় মানুষের বাড়ি বাড়ি সেটি পৌছানো সম্ভব হচ্ছে না।
ট্রলার নিয়ে বন্যা কবলিত প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে গেলে দেখা মেলে মানুষ কি ভয়ানক পরিস্থিতিতে দিন পার করছে। গ্রামের পর গ্রাম এখনো পানির নীচে। চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার।
যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন তারা কমবেশি ত্রাণ পাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু গ্রামের বাড়িগুলো থেকে পানিবন্দি মানুষকে ত্রাণে আওতায় আনা যাচ্ছে না।
অঞ্চলভিত্তিক বানভাসি মানুষের তালিকা এখনো হয়নি। যারা ত্রান দিচ্ছেন তাদের মধ্যেও তেমন সমন্বয় নেই। যে যার মতো ত্রান দিচ্ছেন।
তাই, কেউ একাধিকবার ত্রাণ পাচ্ছেন। আবার কেউ একবারও পাচ্ছেন না। এনিয়ে বানভাসি মানুষের মধ্যেই রয়েছে বিস্তর নালিম আর অভিযোগ।
বানভাসি মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে অনেকেই এগিয়ে আসছেন। তাই, কেন্দ্রীয়ভাবে সেগুলো সংগ্রহ করে বিতরণের একটা কোন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাটাই এখন জরুরি।
তবে পানি আস্তে আস্তে নামতে শুরু হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে শুকনো খাবারের চেয়ে রান্না করা খাবার বেশি প্রয়োজন বলেও জানালেন বন্যা দুর্গত মানুষরা।