কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন- ইভিএমে ভোট দিতে দেরি হওয়ার দুর্ভোগের অভিযোগ করেছেন নগরীর ভোটাররা।
তাদের দাবি, আঙুলের ছাপ না মেলাসহ নানা ধরনের ইভিএম জটিলতার কারণে নবীন প্রবীণ সব ভোটারকেই দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
তবে, নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো ১০৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার হবার কারণে প্রথম দিকে কিছু সমস্যা হয়। পরে তা সমাধান হয়ে যায়।
শুরুতেই ভোট দিতে বুধবার সকালে কুমিল্লা কালিয়াজুরির টিটিআই ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে আসতে থাকেন ভোটাররা। যেখানে ছিলো নারীদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি।
শুরুতে ইভিএমে ভোট নিতে দেরি হতে থাকে। এতে বেশিরভাগ ভোটার ভোগান্তিতে পড়েন। এক একজনকে ইভিএমের কাছে পৌঁছাতে সময় লাগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ।
ইভিএমে ভোট প্রয়োগে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন বয়স্করা। কারো কারো আঙুলের ছাপ না মেলার অভিযোগ ছিলো। তবে তাদের অভিযোগ নিয়েছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে, বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ত্রুটি থাকার অভিযোগের কথা বলেছেন প্রার্থীরাও। বলেন কিছু সমস্যার কারণে ভোট দিতে দেরি হচ্ছে।
তবে প্রথমবার যারা ভোটার হয়েছেন এই পদ্ধতিতে তারা সন্তোষ জানিয়েছেন। বলছেন, কাগজে সিল মেরে ভোট দিলে অনিয়মের সুযোগ থাকলেও ইভিএমে সেই সুযোগ নেই।
আর বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু কিছু কেন্দ্রে জটিলতা তৈরি হলেও তারা দ্রুত সমাধান করেছেন। সব কেন্দ্রেই কারিগরি দল তাৎক্ষণিক সমাধান দিয়েছে।
তবে প্রথমবার ইভিএমে ভোট দেয়ার কারণে অনেকের কাছেই বিষয়টি নতুন লেগেছে। ভোট দেয়ার আগে ভাবতে হয়েছে। এসব কারণে ভোট নিতে কিছুটা সময় লেগেছে।
সুষ্ঠু ভোটের জন্য সিটি নির্বাচনের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের সব কটিকে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। ঢাকার নির্বাচনী ভবন থেকেও এসব সিসিটিভি সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।