চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনে দগ্ধ মাসুদ রানা নামের আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
চিকিৎসকরা জানান, নিহত মাসুদের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো। বিস্ফোরণের দিন থেকেই তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদিকে, আগুনে দগ্ধ ৫৯ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে আইসিইউতে থাকা বাকি ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধদের সবারই চোখ কম-বেশি আঘাতপ্রাপ্ত। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের পাঠানো হবে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডিএনএ শনাক্ত করে এরিমধ্যে ২৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা চলমান রয়েছে।
এ নিয়ে গত চার দিনে ওই ঘটনায় ৪৪ জনের মৃত্যু হলো। এর আগে ৯ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। যদিও প্রশাসনের বরাত দিয়ে প্রথম দিনে ৪৯ জনের মৃতের খবর আসে গণমাধ্যমে।তবে পরে কন্টেইনার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪৯ নয় ৪১ বলে জানায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত থাকায়, মারা যাওয়া ব্যাক্তিদের একজনকে একাধিকবার গণনায় আনার ফলে ভুল হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
এদিকে বিস্ফোরণের তিন দিন পর গতকাল সকালে কন্টেইনার ডিপো এলাকা ঝুঁকিমুক্ত বলে ঘোষণা করে সেনাবাহিনী। বিস্ফোরণের পর তিন দিন ধরে সেখানে আগুন জ্বললেও তা ছড়িয়ে পড়া বা বিস্ফোরণের শঙ্কা নেই বলে জানান সেনা কর্মকর্তারা। সাবধানতার সাথে কাজ করায় আগুন নেভাতে সময় লেগেছে।