ট্রাফিক পুলিশের সাথে বাক বিতণ্ডার জেরে হামলা হয়েছে জুরাইনের ট্রাফিক পুলিশের বক্সে। দফায় দফায় চলা হামলায় ভাংচুর করা হয়েছে পুলিশ বক্স। আহত হয়েছেন ৩ পুলিশ সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টা, রাজধানীর জুরাইনে উল্টোদিক থেকে থেকে আসা মোটর সাইকেলের কাগজ দেখতে চান দায়িত্বরত ট্রাফিক আলী হোসেন। আর তাতেই চোটে বসেন আরোহীরা, উল্টো দেখতে চান ট্রাফিকের পরিচয়পত্র; আরোহীরা নিজেদের সাংবাদিক ও আইনজীবী পরিচয় দেন। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে এই বাকবিতণ্ডা জেরে হামলা হয় জুরাইনের ট্রাফিক পুলিশের বক্সে।
দফায় দফায় চলা হামলায় ভাংচুর করা হয়েছে পুলিশ বক্স। এঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ পুলিশ সদস্য। অনেকেই জানান, মোটর সাইকেলে থাকা নারীর গায়ে হাত তোলা হয়েছে এমন খবরে চড়াও হয় এলাকাবাসী। এরপর খবর পেয়ে শ্যামপুর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদের ওপরও হামলা করে জনতা।
ভাংচুর চালানো হয় ট্রাফিক পুলিশের বক্সে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় সার্জন আলী হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন, ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার এএসআই উৎপল চন্দ্র। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহীসহ মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশের ওয়ারী বিভাগ।