মোবাইল কোম্পানির নির্ধারিত ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজগুলোকে শুভঙ্করের ফাঁকি উল্লেখ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ-মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। মঙ্গলবার বিকেলে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেনের (বাবলা) প্রশ্নের জবাবে তিনি জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান।
এসময় মন্ত্রী বলেন, “মোবাইল ফোনে কল ড্রপ ও নেটওয়ার্কের সমস্যা একটি বড় সংকট। এমন কেউ নেই যিনি কল ড্রপের শিকার হননি। অনেক জায়গায় নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।”
এছাড়া দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কাছে সরকারের ১৩ হাজার ৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৯৩৪ টাকা পাওনা বলেও সংসদে তথ্য দিয়েছেন মোস্তফা জব্বার। এর মধ্যে গ্রামীণ ফোনের কাছে বকেয়া ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৫ টাকা। আর রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটকের কাছে সরকারের পাওনা এক হাজার ৬৩১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
রবি আজিয়াটার কাছে সরকারের পাওনা ছিল ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৬ টাকা। এর মধ্যে ১৩৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। তাদের বকেয়া ৭২৯ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৬ টাকা।
বন্ধ হয়ে যাওয়া প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকমের (সিটিসেল) কাছে সরকারের পাওনা ১২৮ কোটি ছয় লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ টাকা।
টেলিটকের কাছে পাওনা এক হাজার ৬৩১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে থ্রিজি স্পেকটার্ম ফি বাবদ এক হাজার ৫৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা ইক্যুইটিতে কনভার্সনের রূপান্তরের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৯ সালে মোবাইল ফোন ব্যবহাকারী ছিলো ৪ কোটি বর্তমানে তা ১৩ কোটি ছাড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে বিশাল সংখ্যক গ্রাহকদের কলড্রপের কোটি কোটি টাকা মোবাইল কোম্পানীগুলো নিয়ে যাচ্ছে, এই সমস্যার সমাধানে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে না করলে মোবাইল কোম্পানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান মোস্তফা জব্বার।
এছাড়া অনান্য মোবাইল অপারেটরদের সাথে সরকারি কোম্পানী টেলিটক সেবা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন পুরো বাংলাদেশে যেভাবে গ্রাহক সেবা থাকার কথা ছিলো সেভাবে না থাকার পেছনে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অভাবকে দায়ী করেন মন্ত্রী।