নরসিংদী রেলস্টেশনে আধুনিক পোশাকের অজুহাতে এক তরুণীকে হেনস্তার ঘটনার মূল হোতা শিলা আক্তারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন এই রায় প্রদান করেন।
রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শিবপুরের ইটাখোলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১ এর একটি দল। পরে তাকে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ সোমবার বিকেলে তাকে মার্জিয়াকে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তুলে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
ভৈরবে রেলওয়ে পুলিশের ওসি ফেরদৌস আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌহিদুল মবিন খান জানান, রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে মারজিয়া আক্তারকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে সোমবার র্যাব সদর দপ্তরে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে ঢাকা থেকে দুই যুবক ও এক তরুণী নরসিংদীতে বেড়াতে আসেন। ট্র্রেন থেকে নেমে তারা স্টেশনে অবস্থান করছিলেন।
ওই সময় এক নারী তাদের পোশাক দেখে বাজে ও নোংরা মন্তব্য করেন। এক পর্যায়ে স্টেশনে স্থানীয় এক বখাটেসহ ওই নারী ঢাকা থেকে আসা তরুণী ও যুবককে মারধর শুরু করেন এবং মেয়েটির পোশাক ধরে টানাটানি করেন।
এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। পরে ২১ মে ভৈরব রেলওয়ে থানায় নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক ইমায়েদুল জাহেদী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা করা হয় নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের বুদিয়ামারা এলাকার মৃত বাদল মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল ও নরসিংদী শহরের উপজেলা মোড় এলাকার ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী শিলা আক্তারকে।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ ও মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও দেখে তাদের আসামি করা হয়। মামলার পর ২১ মে রাতেই আসামি মো. ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।