মিশরীয় উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এ লিজের সম্পর্কিত বিভিন্ন নথিপত্র চাওয়া হয়েছে বিমানের কাছে।
অভিযোগ আছে, ২০১৪ সালে মিশর থেকে নষ্ট ২টি বোয়িং থ্রিপল সেভেন বিমান লিজ নেয় বাংলাদেশ বিমান। অথচ ইন্সপেকশন টিম বোয়িং দুটি লিজ দিতে অনুমোদন দেয়।
২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ দুটি লিজ নিয়েছিল বিমান। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও।
উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আবারও ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনও সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার এবং মেরামতকারী কোম্পানি- উভয়কেই অর্থ দিতে হয়েছে বিমানকে।
দুটি উড়োজাহাজের জন্য প্রতি মাসে বিমান ১১ কোটি টাকা করে ভর্তুকি দিয়ে আসছিল। মিশরে পাঠানোর আগে বোয়িং দুটি মেরামত করে সচল করে ফেরৎ পাঠাতে হয় বিমানকে। সেই দায় থেকে ২০২০ সালের মার্চ মাসে মুক্ত হয় বিমান।
দুদকের কাছে অভিযোগ এসেছে, এই প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
গত ২৪ মার্চ মিশরীয় উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার অনিয়ম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে তদন্তের কথা জানায় সংসদীয় কমিটি। লিজের ঘটনা নিয়ে সংসদীয় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় গুরুত্ব না দেয়ার অভিযোগ এনে কমিটি দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে।