চট্টগ্রামে পুলিশ সদস্যের কবজি কেটে নেয়ার মূল অভিযুক্ত কবিরকে সহযোগীসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় এক র্যাব সদস্যও গুলিবিদ্ধি হয়েছেন।
অভিযান নিয়ে চান্দগাঁও কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, প্রথমে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে লুকিয়ে থাকলেও পরে লোহাগাড়ায় পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নেন কবির ও তার সহযোগী কফিল। বৃহস্পতিবার অভিযানে গেলে তাদের গুলিতে এক র্যাব সদস্য আহত হন। পরে র্যাব গুলি ছুড়লে সহযোগী কফিলসহ কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় একটি ওয়ান শ্যুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি ও প্রায় দুইশো ইয়াবা। তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে অন্তত ৬টি করে মামলা রয়েছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, কবিরের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাঁর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করতেন তিনি।
র্যাব জানায়, কবিরের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, হত্যাচেষ্টা, মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগে ছয়টি মামলা রয়েছে। তার সহযোগী কফিলের বিরুদ্ধে ছয়টির বেশি মামলা রয়েছে। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। কবির ও কফিলের বিরুদ্ধে নতুন মামলা হবে।
গেল ১৫ মে লোহাগাড়ার পদুয়ায় আসামি ধরতে গেলে কবিরের দায়ের কোপে পুলিশ সদস্য জনি খানের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পদুয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন গত ২৪ মার্চ অনধিকার প্রবেশ ও মারামারির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পদুয়ার লালারখিল এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে কবির আহমদকে (৪০) ২ নম্বর আসামি করা হয়।
রোববার সকাল ১০টার দিকে লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম আসামি কবিরকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালালে কবিরের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুলিশ কনস্টেবল জনি খানের হাতের কব্জি।
এ সময় কনস্টেবল জনি ছাড়াও কনস্টেবল শাহাদত হোসেন ও স্থানীয় আবুল কাশেমও গুরুতর আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।