বাজারে বিক্রি হওয়া মাংসের শতকরা ৩ ভাগ গরু এবং ১৫ ভাগ ছাগলের শরীরে যক্ষার জীবাণু রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষনায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।
গবেষকরা জানায়, এই জীবাণু দ্বারা মানুষের সংক্রমণের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে জবাইয়ের আগে পশু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
বাজারে রোগমুক্ত পশু কতোটা সরবরাহ হচ্ছে তা যাচাইয়ে ২০১৩ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে এক থেকে দেড়শ গরু-ছাগলের মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে আসছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
পরীক্ষায় শতকরা ৩ ভাগ গরু এবং ১৫ ভাগ ছাগলের শরীরে যক্ষার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। মানুষের শরীরে এই জীবাণু সংক্রমণের প্রবল আশঙ্কা আছে বলে মনে করেন গবেষক দলের প্রধান।
সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন দুধ ও মাংস প্রক্রিয়ার সাথে যারা জড়িত। এ সকল ব্যক্তিদের গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করতে বলছেন চিকিৎসকরা।
ঝুঁকি এড়াতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পশু জবাইয়ের কথা বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে নিজেদের নিরাপদে রাখতে যে কোনো পশুর দুধ ভালোভাবে ফুটিয়ে ও মাংস ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাবার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি