আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে দেশ-বিদেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হবে বিএনপি অংশ নিতে বাধ্য হবে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সম্ভাব্য সব রাজনৈতিক চেষ্টাই করা হবে। তারপরও ব্যর্থ হলে, বিএনপি নেতাদের একটি অংশ নির্বাচনে আসলেও স্বাগত জানানো হবে।
প্রায় দুই বছর পর সব সদস্যের উপস্থিতিতে ৭ মে গণভবনে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক। এতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংগঠনিক নানা বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়।
সেই বৈঠকে গুরুত্ব পায় জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গও। সেই অনুযায়ী বেশ কিছু কৌশল ঠিক করেছে আওয়ামী লীগ। নেতারা বলছেন, সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি। সেলক্ষ্যে বিএনপিকে যে কোনো মূল্যে ভোটে আনা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বিশ্বাস করেন, দলের অস্তিত্বের স্বার্থেই শেষ পর্যন্ত বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। এরপরও যদি কোনো নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় দল, তখন বিএনপির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে মনে করে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে না যাওয়া এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে দ্বিধায় থাকার ভুল থেকে শিক্ষা নেবে বিএনপি। তা না হলে সংসদ ও জনগণ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হবে দলটি।
সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি
