ঈদের ছুটিতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে অন্তত এক হাজার মানুষের ভিড় দেখা যায়। এদের বেশির ভাগই আহত হয়েছেন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে এখন ঢাকা ফিরছেন অনেকে। বুধবার দেশের সাত জেলায় ১৭ জন আর বৃহস্পতিবার দশ জেলায় অন্তত ১৪ জনের প্রাণ গেছে সড়কে। এসব দুর্ঘটনায় আরো বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
শুক্রবারও ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রোগীদের ভিড় দেখা গেছে। তাদের অনেকে ঢাকার বাইরে থেকেও এসেছেন।
হাসপাতালের পরিচালক আবদুল গণি মোল্লা জরুরি বিভাগে আসা রোগীর তথ্য জানিয়ে বলেন, ঈদের আগের দিন সোমবার এসেছিলেন ৭৫ জন, আর মঙ্গলবার ঈদের দিন ১৪০ জন। ঈদের পরের দিন ১৪৫ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ সময় বহির্বিভাগও খোলা ছিলো। সেখানেও ৪০-৫০ জন করে রোগী এসেছেন।
গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজার মিজানুর রহমান গাজীপুরের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধীরাশ্রম এলাকায় প্রাইভেট কারের সাথে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। ডান পা ভেঙে ভর্তি হন রাজধানীর আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে।
বিদ্যুৎকর্মী মোহাম্মদ রাসেল খানও আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। তার ভেঙেছে উঁরুর হাড়।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল জানিয়েছে, গত তিন দিনে অন্তত এক হাজার মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৭৫ ভাগের অস্ত্রোপচার লেগেছে।
দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদে সড়কে যান চলাচল কমে যায়। এতে অনেককে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যায়। যে কারণে বাড়ে দুর্ঘটনা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, এবারের ঈদে অন্তত ১৫ লাখ মানুষ মোটরসাইকেলে বাড়ি গেছেন। এতেও বেড়েছে দুর্ঘটনা।
সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি