নিউমার্কেটে ব্যাসায়ীদের সঙ্গে ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মকবুল হোসেন নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি। ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুড নামের যে দুই দোকানের কর্মচারীদের দ্বন্দ্ব থেকে গত সোমবার নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, সেই দোকান দুইটি সিটি করপোরেশন থেকে মকবুলের নামে বরাদ্দ করা।
তবে কোনো দোকানই নিজে চালাতেন না মকবুল। রফিকুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নামে দুজনকে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন দোকান দুটি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার জানান, মামলার ভিত্তিতেই মকবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে, মকবুল দাবি করে আসছেন, বিএনপি করার কারণে পুলিশ তাকে এ মামলার আসামি বানিয়েছে।
নিউমার্কেট সংঘর্ষের ঘটনায় ৩টি মামলার মধ্যে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় মকবুল এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টায় নিউমার্কেট ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ান। পরদিন মঙ্গলবারও দিনভর থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।
মঙ্গলবার রাতে দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত নাহিদ (১৮) নামে এক তরুণ চিকিৎসাধীন মারা যান।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সংঘর্ষে আহত দোকানী মোরসালিন (২৬)।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় একটি হত্যা মামলাসহ তিনটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের দুই মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে নাম উল্লেখ করা ২৪ আসামির সবাই নিউমার্কেট থানা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা।
এ ছাড়া হত্যা মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী নিহত নাহিদ হাসানের চাচা মো. সাঈদ।
এদিকে কুরিয়ার কর্মী নাহিদের পর নিউমার্কেটে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে মোরসালিন নামের এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাতে ১৫০ জনকে আসামি করে নিউমার্কেট থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভাই নুর মোহাম্মদ। এই মামলায়ও আসামিরা অজ্ঞাতপরিচয়।