করোনার টিকা কেনা নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে এক আলোচনা সভায় এই দাবি করেন তিনি।
এসময় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, টিআইবি বলছে- কোভিড-১৯ এর প্রতিটি টিকা কেনায় আমাদেরকে ৬৯ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। অথচ এসব টিকা কেনায় এডিবি, বিশ্ব ব্যাংক জড়িত ছিল।
তিনি আরো বলেন, শুধু টিকা কার্যক্রমের জন্য সারা বিশ্বে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু দেশেই অনেকে না বুঝে সমালোচনা করছেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি চলমান মেগা গ্রকল্পগুলোতে দুর্নীতির যে অভিযোগ তোলে সেই প্রসঙ্গ টেনে কায়কাউস বলেন, সিপিডি বললেন- আমাদের বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে।
আমাদের কোনো প্রকল্প নিজেদের অর্থায়নে হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে জাইকার অর্থায়নে। এর প্রত্যেকটি ট্রানজেকশন হচ্ছে জাইকার মাধ্যমে।
বিদেশি ঋণের প্রকল্পে বিদেশিরাই টাকা খরচ করায় দুর্নীতির সুযোগ নেই দাবি করে তিনি বলেন, মেট্রোরেলসহ র্যাপিড ট্রানজিটের আরো অনেকগুলো বড় ধরনের অবকাঠামো প্রকল্পের অর্থায়ন করছে জাইকা।
এছাড়া আরেকটা সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটার তো আমরা পয়সাও দেখছি না। এই প্রকল্পে যে টাকা নিচ্ছি, তা রাশিয়াই খরচ করছে।
তিনি বলেন, রূপপুর-মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্পের সব কাজেই স্বচ্ছতা রয়েছে। বিশ্বব্যাংকসহ অনেকেই তা পর্যবেক্ষণ করছে।
ড. আহমেদ কায়কাউস আরো বলেন, আমলারা সরকারি চাকরি করে দেশের সেবা করছেন। দুর্নীতি বা চুরি করছেন না। এখন থেকে নেতিবাচক প্রচার সহ্য করা হবে না বলেও জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব।
সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি