জামালপুরের ইসলামপুর যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০ সেন্টিমিটার। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র ঘূর্ণি স্রোতে যমুনা নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ ধস দেখা দিয়েছে।বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) কুলকান্দি হার্ডপয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ডপয়েন্ট এলাকার মাঝামাঝি স্থানে অন্তত ২০ মিটার অংশে ধস শুরু হয়। বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় কুলকান্দি বাজার, শামছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিত বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি হাসান হাফিজুর রহমানের বাড়ি, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি মসজিদ, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি হার্ডপয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ডপয়েন্টের মাঝে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ২০২০ সালে জুন মাসে শেষ হয় প্রকল্পের কাজ। নতুন তীররক্ষা বাঁধের ২০ মিটার অংশে ধস শুরু হয়েছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের অক্টোবরে তীররক্ষা বাঁধের যে ৯০ মিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেখানেই নতুন করে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
বাঁধের তলদেশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ২০ মিটার ধসে পড়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান বাঁধে ধস দিয়েছে শুনেছি। মন্ত্রী মহোদয়েরর সাথে পরামর্শ করে খুব দ্রত সময়ের মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।