নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দী করে শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে গুম করা হয়েছে। ঘটনার ১০ দিন পর রোববার সকালে মরদেহটি উদ্ধার ও ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন নামে শিশুটির চাচাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার নিহত আসমা আক্তার বদলকোট ইউনিয়নের মো: শাহজাহানের মেয়ে। আর গ্রেপ্তার শাহাদাত হোসেন মেঘা গ্রামের মো: বাবুলের ছেলে।
রোববার বেলা ১২টায় নিজ সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো: শহীদুল ইসলাম জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শাহাদাত অপরাধ স্বীকার করেছে। অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুর একটার দিকে জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসপি মো: শহীদুল ইসলাম আরো জানান, গ্রেপ্তার শাহাদাত হোসেনের আদালতে এসে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে। এ ঘটনায় অন্য কারো সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য শাহাদাতকে রিমান্ডে নিয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করবে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো: শহীদুল ইসলাম জানান, ২৪ মার্চ দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়। ঘটনার পরের দিন শিশুর বাবা এ বিষয়ে চাটখিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ঘটনার তদন্তকালে শাহাদাতের গতিবিধি ও আচার-আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে নজরদারিতে রাখে পুলিশ।
এর সূত্র ধরে শনিবার তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় শাহাদাত পুলিশকে জানায়, ঘটনার দিন সে শিশুটিকে ঘরে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার পর মরদেহ বস্তায় ভরে শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেয়।
সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি