সক্ষমতার চেয়ে কম সয়াবিন তেল উৎপাদন করায় বসুন্ধরা, টিকে, এস আলম ও এডিবল অয়েল গ্রুপকে তলব করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জে বসুন্ধরার ভোজ্যতেলের মিলে তদারকি শেষে এ তথ্য জানান সংস্থার পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
ভোজ্যতেলের বাজার ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দ্বিতীয়বারের মতো বসুন্ধরা অয়েল মিলে তদারকি করে ভোক্তা অধিদপ্তর। কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ে অবস্থিত বসুন্ধরা মাল্টিফুড প্রডাক্টসে যান ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।
তদারকিতে দেখা যায়, প্রতিদিন ৬০০ টন সয়াবিন তেল উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও, বসুন্ধরা উৎপাদন করছে ৪৬০ টন। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে ১৯ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ১৭ হাজার এবং মার্চের ২৮ তারিখ পর্যন্ত উৎপাদন করেছে ১৩ হাজার ৫২ টন সয়াবিন তেল।
যদিও বসুন্ধরার দাবি, সরকারি সংস্থা টিসিবিকে তেল সরবরাহ করার কারণেই বাজারে কম সরবরাহ করা হচ্ছে।
তবে বসুন্ধরার কর্মকর্তাদের এমন যুক্তি মানতে নারাজ ভোক্তা অধিদপ্তর। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলেন, সক্ষমতার পরেও কেন তেলের উৎপাদন বাড়ানো হয়নি, তার জবাব দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিদিন সয়াবিন তেল উৎপাদনের তথ্যও পাঠাতে হবে অধিদপ্তরে।
এদিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেকে এস আলমের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে পাওয়া অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, তাদের কারখানায় ড্রামের গায়ে পণ্যের নাম, মেয়াদ ও মূল্য উল্লেখ নেই। তেল রিফাইনারি ও বোতলজাতকরণ শাখা বন্ধ। ৫ লিটারের মোড়কে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৩৫ টাকা লেখা, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।
দ্বিতীয় দফায় তদারকিতে দেখা যায়, সরবরাহ আদেশ বা এসওতে একক মূল্যের উল্লেখ নেই। নিয়মবহির্ভূতভাবে এসওগুলো কারখানায় আসার আগে হাতবদল হচ্ছে।
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান অথবা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এসব অনিয়মের ব্যাখ্যা দিতে আগামী ৩০ মার্চ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
তেলের বাজারে সরবরাহ কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিতে বুধবার বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, টিকে ও এস আলম গ্রুপকেও তলব করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।