মোঃ শাকিব হোসেনঃ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রায় একশ কোটি টাকার জায়গা অবৈধ দখল করে মাছ বাজার বসাচ্ছে, রাম বাহিনীর একটি চক্র ।অধিকাংশ জায়গা এরই মধ্যে দখলবাজদের দখলে চলে গেছে। সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে দখলস্বত্ব হস্তান্তর করছে চড়ামূল্যে। এতে প্রায় একশো কোটি টাকার ভূমি ৩০ বছর ধরে দখলে নিয়েছে প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ দখলবাজ। ভূমি দখল করে এরই মধ্যে বসিয়েছেন শত শত মাছের পাইকার এবং দোকান। যে হারে দখল হচ্ছে, আগামী দু-এক বছরের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে কোন জায়গার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না এ সহরে। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা দিনেদুপুরে জায়গা ভরাট করে দখল করে নেন।আবার কেউ কেউ রাতারাতি বিশাল পাকা স্থাপনাও গড়ে তুলছে। পাকা স্থাপনা করে চড়ামূল্যে অন্যের কাছে বিক্রিও করছে।ওয়ান ইলেভেনের সময় আব্দুল্লাহপুর বেঁড়ীর দুপাশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবৈধ দখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার করতে এ ভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিস্তীর্ণ জায়গা উদ্ধার করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপর সরকার পরিবর্তনের পর নতুন উদ্যোগে সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু রাজনৈতিক প্রভাবে বেপরোয়াভাবে কোটি কোটি টাকার সরকারি ওয়াপদা বেঁড়ীর জমি দখল প্রক্রিয়া শুরু করে এবং অবৈধভাবে নির্মাণ করছে বাড়িঘর, দোকানপাট, ও বিভিন্ন সংগঠনের কার্যালয়সহ, নানা অবৈধ মাছ বাজার বসিয়ে বছরের পর বছর এসব অবৈধ দখলদাররা।পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানাযায়, এসব জায়গা উদ্ধার করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও রহস্যময় কারনে প্রভাবশালী শক্তির প্রভাবে এ উচ্ছেদের ফাইলও চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। আবার একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট পুরো জায়গাটি সরকার থেকে লিজ নিয়ে ভোগ করার নামে পজিশন বিক্রি করে জিরু থেকে হিরো বনে যান। এইসব দখলবাজদের নিকট যেন কর্মকর্তারাও অসহায় হয়ে পড়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা দুই থেকে তিন শহ মাছের আড়্য, সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৮ টি ছোট বড় বাজার রয়েছে। এই সব বাজারগুলোতে রাস্তার পাশে প্রায় ৫ শতাধিক ঘর তুলে কতিপয় ভূমিদস্যুরা।পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় দখল করে মাছ বাজার প্রসঙ্গে মাছ ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মাদ, জাাকির হোসেন, নুরুল আলম, বলেন এই সব ব্যবসায়ী গুলো থেকে রাম বাবুর বাহিনী দিয়ে প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন এবং তারা আরো অভিযোগ করেন প্রতি রাতে ১ টা থেকে ভোর পর্যন্ত মাছের যে গাড়িগুলো আসে গাড়ি পতি আলাদা ভাবে টাকা দেওয়া লাগে। এই প্রতিদিন বিস্তৃত ভাবে সরকারি জায়গা দখল হচ্ছে। সংশ্নিষ্ট বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চোখের সামনে ভূমিদস্যুরা প্রভাব খাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সদস্যরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসব জায়গায় দখল করে রাখছে।বর্তমানে কিছু জায়গা দখলমুক্ত থাকলেও প্রতিদিনই দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় আর কতদিন অবশিষ্ট জায়গা দখলমুক্ত থাকবে এটাও অনিশ্চিত। দুই যুগ ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১ শ কোটি টাকা মূল্যের পুরো সরকারি জায়গা অবৈধ দখলে নিয়ে চড়ামূল্যে একে অন্যের কাছে দখলস্বত্ব বিক্রি করছে অহরহ।
এই বিষয়ে উত্তরার ৪৭নং ওয়াড কাউন্সেলর মোঃ মোতালেব মিয়া বলেন এই বেপোরায়া দখল বন্ধ না করলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অস্তিস্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।