অনলাইন ডেস্কঃ
টাকা না দিলে সুস্থদেরও আনফিট করে দিচ্ছে মেডিকেল চেকআপ সেন্টারগুলো। টাকা দিলে অসুস্থ ব্যক্তি ফিট, না দিলে আনফিট সুস্থরাও। মধ্যপ্রাচ্যগামী বেশিরভাগ কর্মীর সঙ্গে এমন প্রতারণা করছে বেশিরভাগ মেডিকেল চেক আপ সেন্টার।
শুধু তাই নয়, জন্ডিস, যক্ষ্ণাসহ কঠিন রোগে আক্রান্ত অনেকে টাকার বিনিময়ে ফিট কার্ড নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে। এবিষয়ে নেই সরকারি নজরদারি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিদেশ যাত্রার স্বপ্ন ভাঙার যন্ত্রনায় অশ্রুশিক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আহসান হাবীব। সচ্ছলতার আশায় জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে, যেতে চান সৌদি আরবে। ভাটারা মোহায়মিদ মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করান। কিন্তু তাকে আনফিট করা হয়।
পরে ২৩ হাজার টাকায় ফিট হন আহসান। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় কুড়িলের ট্রান্সওয়ার্ল্ড মেডিকেল সেন্টার তাকে আনফিট করে বলে অভিযোগ বিদেশগামী ফরহাদের।
শুধু তাই নয়, জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফিট কার্ড নিয়ে প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)। তারাই মুলত মেডিকেল সেন্টার গুলোর অনুমোদন দেয় তবে, স্থানীয়ভাবে অনুমতি নিতে হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।
প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় দেশের অর্থনৈতিক ভিত শক্ত হচ্ছে, পারিবারিক জীবনে ফিরছে স্বচ্ছলতা। অথচ ঠুনকো সমস্যা বা ঘুষ না দিতে পারায় প্রতিদিন শত শত বিদেশগামীর স্বপ্ন ভাঙছে। কিন্তু আদৌ কি এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে? নাকি ধরাছোঁয়া বাইরে থেকে যাবে এসব অপরাধীরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলছে, কেবল অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেবেন তারা।
অনিয়মে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি বিদেশগামীদের।