বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গত ১২ই ডিসেম্বর চোখের সমস্যার কারনে মুন্নু রহমান (রোগী) ঢাকা আই কেয়ার হাসপাতালের ডাক্তার হারুনুর রশীদের পরামর্শ গ্রহণ করেন, সেখানে ডাক্তার চোখ পরিক্ষা করে তাকে চশমা ও কিছু ঔষধ দেয় ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে।
ডিজিটাল কার্ড- এ কার্ড শুধু রোগীর নাম ও তাদের একটি বিশেষ কোড দেওয়া থাকে। কার্ড এর বিশেষত্ব হলো কার্ডটি নিয়ে রিসিপশন বা হাসপাতালের ফার্মেসীতে দিলে ডাক্তারের দেয়া চিকিৎসাপত্র চলে আসে যা কম্পিউটারের মাধ্যমে দেখা যায়। রোগী ডাক্তারের কাছ থেকে কোন কাগজ পাবেনা, রিসিপশনে সে কার্ড দেখালেই কম্পিউটারে প্রিন্ট হয়ে ডাক্তারের দেওয়া চিকিৎসাপত্র বের হয়।
ডিজিটালাইজড এর ধারাবাহিকতায়, রিসিপশনিষ্ট মুন্নু রহমানের চিকিৎসাপত্রের পরিবর্তে অন্য এক মহিলা “মুন্নুর”চিকিৎসাপত্র অনুযায়ী ঔষধ ও চশমা প্রদান করেন,এতে তার চোখের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়।
চোখের অবনতি দেখে ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হতে চাইলে হাসপাতালের লোকজন বুঝতে পারে যে তারা ভুল করেছে যারফলে মুন্নু রহমানকে ডাক্তারের সাথে দেখা করা সুযোগ না দিয়ে বরং নিজেরাই চশমা’র পাওয়ার বাড়িয়ে দেয় আর বলে দেন পরবর্তীতে আর ঔষধ সেবন করতে হবে না এবং নতুনভাবে চশমার পাওয়ার চেক করার জন্য আরো এক হাজার টাকা দিতে। এতে ভুক্তভোগী মুন্নু রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় ডাক্তারের সাথে দেখা করতে চাইলেও হাসপাতালের কেউ তাকে ডাক্তারের কাছে যেতে দেয় না ।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তারা জানাবে বলে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।