কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া সন্দেহভাজন আরো ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- রেজাউল করিম, মামুনুর রশীদ ও মেহেদী হাসান। আটক অন্য দুইজনের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
রোববার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি এই কর্মকর্তা।
এর আগে কক্সবাজারের জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিয়াজ এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার আসামি রিয়াজ উদ্দীন ছোটনকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনের নামসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী।
এর আগে বৃহস্পতিবার ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন, বুধবার বিকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে তারা বেড়াতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।
এরপর তাকে নেয়া হয় কলাতলীতে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। পরে র্যাব এসে তাকে উদ্ধার করে।
পরদিন ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো তিনজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিনকে।