সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চালকদের কারোই লাইসেন্স নেই, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলে এই গাড়িগুলো বলে জানায় র্যাব। দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দুর্ঘটনায় নটরডেম কলেজের ছাত্রকে হত্যার পর তদন্তে নামে র্যাব। কোনো চালকের কাছেই মেলেনি গাড়ি চালানোর লাইসেন্স। মূলত তেল চুরির টাকায় এরা বেতন গোছাতেন।
এর আগে ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে প্রাণ হারান নটরডেমের ছাত্র নাঈম হাসান। একদিন না যেতেই পান্থপথে উত্তর সিটির ময়লার গাড়িতে জীবন যায় আরো এক সংবাদ কর্মীর। এই দুই চালকই গ্রেপ্তার হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বের হতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হওয়া দক্ষিণ সিটির চালক রাসেল, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছনতাকর্মী হলেও পান্থপথের ঘটনায় দোষী চালকের সঙ্গে উত্তর সিটির কোনো সম্পর্কই নাই।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব আরো জানায়, তেল চুরির টাকা দিয়েই বেতন গোছাতেন এসব অভিযুক্তরা। এসব দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে সিটি করপোরেশন দুইটিতে নিজস্ব তদন্ত করার আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সন্মেলনে।
দুর্ঘটনার পরই কারণ অনুসন্ধান ও দোষীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিটি করপোরেশন। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে তারা।