বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিএনপির সমাবেশে বাঁধা দিয়েছে পুলিশ। হয়েছে লাঠিচার্জও। কোথাও কোথাও সংঘর্ষেও জাড়ায় নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশ সংবাদিকসহ আহত হয়েছে অন্তত ৩৫ জন।
নাটোরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা। সেসময় হঠাৎই পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। তা মুহুর্তেই রূপ নেয় সংঘর্ষে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে লাঠি চার্জ ও পরে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ। এতে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক বাপ্পি লাহিড়ী ও নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনছুর রহমানসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে জেলা যুবদলের সভাপতি ডালিমসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
খুলনা কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের আশপাশও সকাল থেকে ছিল উত্তপ্ত। নেতাকর্মীরা মিছিল করতে চাইলেই আসে পুলিশের বাঁধা। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে উত্তেজনা ছড়ায় পুরো এলাকায়। ছোরা হয় রাবার বুলেট। এতে ৪ ফটোসাংবাদিকসহ আহত হয় অন্তত ১৫ জন।
বরিশাল সদর রোডের কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে জড়ো হতে থাকে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে যেতে চাইলে বাঁধা দেয় পুলিশ। পরে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে ময়মনসিংহ, রংপুর, মানিকগঞ্জ, জয়পুরহাট, ফরিদপুর হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।