সরকারি কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করার পাশাপাশি জনগণের সেবক হিসেবে পাশে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ১১৯ ও ১২০ তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শোষিত, বঞ্চিত মানুষকে মুক্তি দিতেই বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছেন, তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার স্বপ্ন ছিলো দেশের একটি মানুষও যেনো না খেয়ে থাকে। আইন ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সেদিকে লক্ষ রেখে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে। সাংবিধানিক দায়বদ্ধাতায় বিশ্বস্ত থেকে কাজ করার পাশাপাশি, দেশকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
প্রযুক্তি, জ্ঞান ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে স্ব স্ব কর্মস্থলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারি কর্মকর্তাদের করণীয় নির্ধারণ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষ যেনো প্রশাসনের সেবা পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করতেও সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলা। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আপনাদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কাজ করতে হবে জনগণের জন্য। জনগণের সেবক হিসেবে।
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে এই হচ্ছে আমার জীবনের স্বপ্ন। এই অল্প কথার মাধ্যমে এটা প্রতীয়মান হয় যে, তিনি কী কারণে সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ ভাষণের লাইন তুলে ধরে তার জ্যেষ্ঠকন্যা বলেন, আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনে দেয় এই গরিব কৃষক, আপনের মাইনে দেয় এই গরিব শ্রমিক, আপনার সংসার চলে ওই টাকায়, আমি গাড়ি চলি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন, ইজ্জত করে কথা বলুন, ওরাই মালিক।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মালিক জনগণ। আমাদের সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদেও এই কথা বলা আছে। কাজেই সেই শিক্ষাটাই তিনি দিতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানের ২১ এর ২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিটি সরকারি কর্মচারী সার্বক্ষণিকভাবে জনগণের সেবা প্রদানে বাধ্য।
টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে
