রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ মিয়ানমারে ফিরতে চেয়েছিলেন, এজন্যই স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার”।
গত বুধবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে গুলিতে মারা যান রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ উখিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার পর শুক্রবার উখিয়ার ৬ নম্বর ক্যাম্প থেকে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) নামের সন্দেহভাজন এক রোহিঙ্গাকে আটক করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। পরে তাঁকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। তিনি একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজে সাবেক মার্কিট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন মুহিবুল্লাহ।
এদিকে মুহিবুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া শুধু হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিচার নয়, মুহিবুল্লাহর হত্যার পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল তাও খুঁজতে দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন একটি তদন্ত চালানো উচিত বলে মনে করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশলেতে।
টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে