দেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্রের বুকে হচ্ছে রানওয়ে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের ৯ হাজার ফুটের রানওয়েটি বাড়ানো হচ্ছে আরো এক হাজার ৭০০ ফুট। যা শাহজালাল বিমান বন্দরের চেয়েও ২০০ ফুট বেশি। থাকবে রি-ফুয়েলিংয়ের ব্যবস্থাও। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা উঠা-নামা করতে পারবে উড়োজাহাজ। আর আজ এ কাজের উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পর্যটন, ব্যবসা বানিজ্য ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যোগাযোগের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে । ইতোমধ্যে রানওয়ের দৈর্ঘ ৯ হাজার ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। প্রস্থ ১০০ ফুট থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০০ ফুট। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিমানবন্দরের রানওয়ে আরো এক হাজার ৭০০ ফুট বৃদ্ধি করা হবে।
নির্মাণ শেষে কক্সবাজার বিমান বন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য দাড়াবে ১০ হাজার ৭০০ ফুট, যা ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের রানওয়ের চেয়েও ২০০ ফুট বেশি।
শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
দেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র বক্ষে নির্মাণ হচ্ছে রানওয়ে। প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৫ শ ৬৯ কোটি টাকা। বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের এ প্রকল্প পর্যটন ও অর্থনীতির বিকাশে ভুমিকা রাখবে, বলছেন ব্যবসায়ীরা।
দু পাশে সাগরের নীল জলরাশির মাঝে বিস্তৃত রানওয়েতে নামবে বিমান। এ মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা। বিমানবন্দরে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে, এমন খবরে খুশি পর্যটকরা।
পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবার পর কক্সবাজার বিমানবন্দরে থাকবে রি-ফুয়েলিং-এর ব্যবস্থাও। পাশাপাশি, দিন-রাত ২৪ ঘন্টা উড়োজাহাজ উঠা-নামার সুবিধা থাকবে এই বিমান বন্দরে।
টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে