কাজি আরিফ হাসানঃ
১৮ কোটি বাঙালি চোখের স্বপ্ন পদ্মা সেতু যখন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের মিথ্যা অপবাদকে দুরে সরিয়ে রেখে নিজ দেশে অর্থায়নে জাতি জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা আ.লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হলো ১৮ কোটি স্বপ্নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করা। বাংলাদের মানুষে চোখের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পদ্মা সেতু। অনেক কল্পনার জল্পনা পর বর্তমান আ.লীগ সরকারের আমলে দেখা যাবে এই পদ্মা সেতুতে যানবহন চলতে।এ সেতু চালু হলে ২১ টি জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।এ সেতু সাথে থাকছে রেল লাইন স্থাপনা,থাকছে গ্যাস লাইন স্থাপনা যা আগামিতে ২১ টি জেলার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর বছরের শেষ নাগাদ এই পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এর ৭ থেকে ৮ মাস পর থেকে পদ্মা সেতু কাজ শুরু হয়। সেতুর ফলক উন্মচনের সময় উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের(আ.লীগে সাধারন সম্পাদক)সহ অন্যান্য মন্ত্রী,এমপিরাও। সেতু প্রকল্প ব্যায় ৪১ হাজার কোটি টাকা। সেতু তৈরিতে কাজে নিয়োজিত ছিলে দেশের স্থপতি ও প্রকৌশলিরা সেই সাথে তাঁর পাশাপাশি একযোগে কাজ করেন চীনসহ কয়েকটি দেশে প্রকৌশলিরাও নিয়োজিত ছিলেন আর এ সেতু নির্মানের জন্য চীন শ্রমিক থেকে শুরু করে দেশের অনেক শ্রমিকের শ্রমও এ পদ্মা সেতু নির্মানের সাথে জড়িয়ে আছে। এ সেতুতে বালু,সিমেন্ট,লোহা,রোডে পিচঢালাইয়ের সাথে মিশে আছে ১৮ কোটি বাঙালির ভালোবাসা নিঙ্গড়ান ত্যাগ। মাওয়া মুন্সিগঞ্জের প্রান্ত থেকে জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত এ সেতুর দূরত্ব দৈঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার । এই ফোর লেনের সেতুতে ২ হাজার ৯১৭টি কংক্রিটের রোড স্ল্যাব বসেছে,স্প্যান সংখ্যা ৪২টি,পিলার সংখ্যা ৪১,রেলওয়ে স্ল্যাব ২,৯১৬টি। প্রকল্প পরিচালকের তথ্য মতে ,বাংলার মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ ইতোমধ্যে ৯৫.২৫ ভাগ শেষ হয়েছে,আগামী ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে বাকি ৪.৭৫ ভাগ(প্যারাপেড ওয়াল,এক্সপ্যানশন জয়েন্ট,রোড পিচঢালাই,বৈদ্যুতিক বাতির আলোক সজ্জার ইত্যাদি কাজ)কাজ শেষ হবে আশা করা যায়।তবে ২৩ আগস্ট পদ্মা সেতুর স্ল্যাবের কাজ সমাপ্ত হোলেও রোড স্ল্যাবের ওপর কার্পেটিং বাকি আছে যা আপাতত বর্ষা মৌসুম গেলে রোড স্ল্যাবের পিচঢালার কাজ শুরু হবে বলে তথ্য পাওয়া যায়।তবে আগামী ২০২২ সালে মে মাসে এই স্বপ্নের সেতু ওপর যানবহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে তাঁরা আশাবাদি। ইতোমধ্যে এ সেতু দিয়ে যানবহন(মটর সাইকেল,বাস,ট্রাক,পিকআপ,মাইক্রবাস,প্রাইভেটকার)পার হওয়ার টোল আদায়ের নির্ধারিত গেজপটও প্রকাশ হয়েছে।
টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে