বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হওয়ায় ডেঙ্গু রোগীরা বাধ্য হয়ে ছুটছেন বেসরকারি হাসপাতালে। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে ২৭৭ ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৪৮ জন। এতে খরচ বাড়ছে ডেঙ্গু চিকিৎসায়। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু ইউনিট চালুর পরামর্শ চিকিৎসকদের।
ফার্মগেটের বাসিন্দা ইউসুফ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে। পুরো পরিবার করোনা মুক্ত হলেও এখন আক্রান্ত ডেঙ্গুতে। চাকরির অল্প বেতনে চিকিৎসা খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ঢাকা মেডিকেল, মুগদা হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দীসহ অন্তত সাতটি হাসপাতালে হচ্ছে না ডেঙ্গুর চিকিৎসা। জীবনে বাঁচাতে রোগীরা ছুটছেন বেসরকারি হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হলেও বেসরকারি হাসপাতালে খরচ পড়ছে কমপক্ষে ৩০ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বর্তমানে সরকারির চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী তিন গুণ। এতে চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে রোগীরা।
এদিকে লালকুঠি হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ কয়েকটি ডেঙ্গুর জন্য নির্ধারণ করা হলেও এখনো শুরু হয়নি কার্যক্রম। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর জন্য আলাদা ইউনিট চালুর পরামর্শ চিকিৎসকদের।
বর্তমানে রাজধানীতে ডেঙ্গু চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ২৫ জন। এর মধ্যে ২৭৭ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন সরকারি হাসপতালে। আর বেসরকারিতে ভর্তি ৭৪৮ জন।
টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে