নারায়ণগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর ভূমিকায় ক্ষোভ জানিয়েছে হাইকোর্ট। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন দূরে থাক, কোনো শোকবার্তাও না দেয়ায় অসন্তোষ আদালত। চারটি মানবাধিকার সংগঠনের রিটের শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ৮ জুলাই আগুনে পুড়ে ৫২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হয় অর্ধশতাধিক। নিহত শ্রমিকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে শনিবার রিট করে চারটি মানবাধিকার সংগঠন।
বুধবার গণমাধ্যমে ঐ কারখানার শ্রমিকদের বেতন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি আবারো আদালতের নজরে আনে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এর জেরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জানায় আদালত।
এত প্রাণহানির পরও সংগঠনের কোন প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করে। আদালত বলছে, সংগঠনগুলো ব্যস্ত কেবল নিজেদের ঋণ মওকুফ ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে।
নিরাপদ কর্মক্ষেত্র, কারখানার পরিবেশ ও মান উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রেখে আদালত বলেছেন, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাদের খুব পজিটিভ কোনো ভূমিকা দেখি না। তারা শুধু আছে কীভাবে সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা নেবে, আর ব্যাংকঋণের টাকা মাফ পাওয়া যাবে। তাদের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি বা ফ্যাক্টরিগুলো যথাযথভাবে চলছে কি না, কোথায় কী দুর্বলতা ও ঘাটতি, তা দেখা উচিত।
শুনানিতে আদালত আরো বলে, পোশাক কারখানায় বিদেশীরা চাপ দিয়েছে বলে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু কোন কারখানায় কি সমস্যা রয়েছে সেদিকে তদারকির অভাব রয়েছে।
এছাড়া, আহত শ্রমিকদের চিকিৎসায় অবহেলা হলে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানায় হাইকোর্ট।
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী সারা হোসেন, নীনা গোস্বামী ও অনীক আর হক শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার।
টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে