ঘোষিত ১৪ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন প্রায় শেষের পথে; কিন্তু, সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি। সড়ক-অলিগলি সবখানেই চোখে পড়ছে জনসমাগম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। একইসাথে সিদ্ধান্তে সম্পৃক্ত হয়নি জনগণও। এছাড়া উদাসীন কিছু মানুষের অনীহা তো রয়েছেই।
মৃত্যু-সংক্রমণ কমেনি কোনটিই। বরং এক বছর আগে ঠিক এই সময়টায় যতজন মারা গেছেন এখন প্রাণ হারাচ্ছেন তার চেয়েও প্রায় পাঁচগুণ বেশি। কমে আসছে হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা। সংকট আছে অক্সিজেনের।
সে হিসেবে সবার আরও বেশি সচেতন- সতর্ক হবার কথা। হয়েছে উল্টোটা। সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্তও রূপ পেয়েছে কাগুজে সিদ্ধান্তে। কিন্তু কেন মিললো না কাঙ্ক্ষিত সাড়া?
স্বল্প আয়ের মানুষ কিংবা এক বেলা কাজ করে যাদের অন্যবেলার খাওয়া জোটে তারা নিয়তির কাছেই একরকম নিজেদের সমর্পণ করছেন। অভুক্ত থাকার কষ্ট তাদের কাছে করোনার চেয়েও ভয়ংকর।
কিন্তু শুধুই কি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মানুষকে ঘরের বাইরে এনেছে? বাস্তব চিত্র তা বলে না। অনেকেই সব জেনেও ভয়াবহতা আমলেই নিচ্ছেন না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সামাজিক নিরাপত্তার সংকট লকডাউন কার্যকর করার পথে বড় একটি বাধা। আরও আছে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারার দুর্বলতা।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দোটানায় ভোগা যাবে না- বলছেন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী। সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোও প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে