কঠোর লকডাউনেও জেলা ও গ্রাম পর্যায়ে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, বগুড়া, কুষ্টিয়াসহ ২১ জেলায় আরো ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ১০৪ এবং উপসর্গ নিয়ে ৪৯ জন মারা গেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪ ও উপসর্গ নিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৭ জন মারা গেছেন যা এ পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ। সেখানে শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
বগুড়ায় করোনায় ১৭ ও উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৯ জন। এর মধ্যে শহরে ২ ও বিভিন্ন উপজেলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়।
বর্তমান সময়ে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষই বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন মারা গেছে। এছাড়া, ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ৫, কুমিল্লায় ৪ ও চুয়াডাঙ্গায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তাই যেন সত্যি হতে চলেছে। সারাদেশের বর্তমানের এমন করোনা পরিস্থিতি অন্তত সে বার্তাই দিচ্ছে। সীমান্তের জেলাগুলো ছাড়াও অন্য জেলায় রকেটগতিতে ছড়াচ্ছে অদৃশ্য এই শত্রু।
সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে বাড়ছে করোনার উপসর্গ জ্বর-সর্দি-কাশি। তবে তার বেশিরভাগই প্রকাশ পাচ্ছে না। অনেকে সামাজিক বয়কটের শিকার হওয়ার শঙ্কায় বিষয়টি চেপে যাচ্ছেন, আবার কেউ এড়িয়ে যাচ্ছেন ‘মৌসুমি জ্বর-জারি’ বলে। যা ভয়াবহ পরিণতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামে গ্রামে এখন যে অবস্থা, তাতে ব্যাপকভাবে নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত নির্ণয় করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে ‘বিস্ম্ফোরণে’র মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। তখন তা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে