করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়ার পর শনিবার ভোর থেকেই দলে দলে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।
ইতোমধ্যেই ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় লকডাউন কার্যকর থাকায় দূরপাল্লার বাস ঢাকায় আসা যাওয়া না করতে পারলেও বন্ধ করা যায়নি ঢাকামুখী এবং ঢাকা থেকে বের হওয়া মানুষের ঢল।
তবে শুক্রবার রাতে সরকারের তরফ থেকে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের কথা বলার পর ঢাকামুখী মানুষের ভিড় কমে ঢাকা ছাড়া মানুষের ভিড় বেড়েছে।
সরকার সোমবার ২৮শে জুন থেকে আবার সাতদিনের জন্য সব কিছু বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ১৪ দিনের সম্পূর্ণ শাটডাউন দেয়ার সুপারিশ করেছিল।
জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে এবং শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছে সরকার। এর বাইরে জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। গণমাধ্যম এর আওতাবহির্ভূত থাকবে।
রাতে এ ঘোষণার পর শনিবার ভোর থেকেই ঢাকা ছাড়ার হিড়িক শুরু হয় এবং ঢাকার কাছাকাছি কিছু এলাকায় ছোট বাসে করে গিয়ে আবার জেলায় প্রবেশের আগে গিয়ে নামছে মানুষ। সেখান থেকে হেঁটে জেলার সীমান্ত পার হয়ে পিকআপ ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা কিংবা ভ্যানগাড়ির মতো স্থানীয় পরিবহন দিয়ে ফেরিঘাটে পৌঁছাচ্ছে মানুষ।
মুন্সীগঞ্জে লকডাউনের কারণে জেলার প্রবেশমুখসহ নানা জায়গায় চেকপোস্ট থাকলেও মানুষজন হেঁটে চেকপোস্ট এলাকা অতিক্রম করে অন্য যানবাহন নিয়ে ছুটছে ফেরিঘাটের দিকে। মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় শিমুলিয়া ফেরিঘাট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত একুশটি জেলার মানুষজন যাতায়াত করে।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আওতাধীন এলাকা। প্রশাসন পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিলেও নানা পথে মানুষজন আসছে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই বেশ কিছু জেলায় আলাদাভাবে লকডাউন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ার এবং ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপ করা কার্যকর আছে যা চলার কথা আছে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ।
সূত্রঃ ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন