২৪ ঘন্টায় রাজশাহী, খুলনাসহ ১০ জেলায় করোনায় ৩৮ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার ৩ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৮ ও উপসর্গ নিয়ে ১ জন মারা গেছেন।
২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৫ জন। এদিকে, মৃত ১৪ জনের মধ্যে রাজশাহীর ৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ জন, নওগাঁর ৩ জন ও নাটোরের ১ জন।
এছাড়া, কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭জনের মৃত্যু হয়েছে। যশোর ও সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত ৬ ও উপসর্গ নিয়ে ১৫জন মারা গেছেন।
এদিকে, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১১ এলাকা আজ থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরা ও নাটোরে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। টাঙ্গাইল শহর ও এলেঙ্গা পৌর এলাকার পর আজ থেকে কালিহাতি পৌর এলাকাও এলো লকডাউনের আওতায়।
মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতে লকডাউন চললেও সরকারি নির্দেশনা মানায় অনীহা সাধারণ মানুষের।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সারাদেশে ১৪ দিনের শাটডাউন দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির দেয়া এই সুপারিশকে যৌক্তিক বলে মনে করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি জানান, সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া পরিকল্পনা চলছে। আর শাটডাউনের প্রস্তুতিও আছে সরকারের।
এর আগে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩৮ তম সভা থেকে এই পরামর্শ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মােহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, ভাইরাসের বিস্তার পুরোপুরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে সারা দেশ অন্তত ১৪ দিন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
তবে শুধু জরুরি সেবাই এর আওতামুক্ত থাকবে। আর এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে