ঢাকবুধবার , ৫ মে ২০২১
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খেলা
  7. চাকুরীর খবর
  8. ফটোগ্যালারি
  9. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. বিবিধ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে না চাওয়ায় বান্ধবীকে খুন

নিউজ ডেস্ক
মে ৫, ২০২১ ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অবৈধভাবে গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে না চাওয়ায় নিজের বান্ধবীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন পুয়ের্তোরিকান বক্সার ফেলিক্স ভারদেজো। ২০১২ সালে পুয়ের্তোরিকার হয়ে অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী এই বক্সার। নিখোঁজের একদিন পর বান্ধবী কিয়েশলা রদ্রিগেজের মৃতদেহ পাওয়া যায় দেশটির সান হোসে হ্রদে। ফেলিক্সের এমন আচরণে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পুয়ের্তোরিকার জনগণ। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তারা।

ভালবাসা শুধু কাছেই টানে না, অনেক সময় দূরেও ঠেলে দেয়। ভালবাসার শক্ত বন্ধন বিশ্বাস। সেটা না থাকলে সম্পর্কে ফাটল ধরে যে কোনো সময়। ছবির এই মিষ্টি মেয়েটাকে দেখলে কেউ বুঝতেই পারবে না কতটা নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছে সে। ভালবেসে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু কে ভেবেছিল সে ভালোবাসাই কাল হবে পুয়ের্তোরিকার কিয়েশলা রদ্রিগেজের। মন প্রাণ উজার করে ভালোবেসেছিলেন দেশটির বক্সার ফেলিক্স ভারদেজোকে। ২০১২ সালে পুয়ের্তোরিকার হয়ে অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন ফেলিক্স।

দেশটির ক্রীড়াঙ্গনে অনেক সাফল্যের কারিগর ২৭ বছর বয়সী বক্সার। বিবাহিত ও এক কন্যা সন্তানের বাবা ফেলিক্স। তারপরেও স্ত্রী সন্তান রেখে সম্পর্কে জড়ান কিয়েশলার সঙ্গে। দীর্ঘদিন একসঙ্গে বসবাসও করেন দুজন। কিন্তু বিপত্তি দেখা দেয় কিয়েশলা গর্ভবতী হয়ে পড়লে। বারবার গর্ভপাতের জন্য কিয়েশলাকে চাপ দেন ফেলিক্স। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত অটল কিয়েশলা চেয়েছিলেন ফেলিক্সের ভালবাসার ফসল পৃথিবীতে নিয়ে আসতে।

এতেই ক্ষেপে যান ফেলিক্স। কিয়েশলাকে ভালবাসার ফাঁদে ফেলে ডেকে নেন নির্জন জায়গায়। সেখানেই কথাবার্তার একপর্যায়ে তার মুখে ঘুষি মেরে তাকে আহত করেন। আগে থেকেই কিয়েশলাকে মারার পরিকল্পনা এটে রেখেছিলেন ফেলিক্স। একজন সঙ্গীর সহায়তায় কিয়েশলাকে তিওদোরো মসকোস ব্রিজের ওপর থেকে নিচে ফেলে দেন। এরপর গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। শুধু সন্তানকে পৃথিবীতে আনতে চাওয়ার কারণেই প্রাণ যায় কিয়েশলার।

একদিন পর কিয়েশলার মৃতদেহ পাওয়া যায় সান হোসে হ্রদে। এমন ঘটনায় হতবাক তার পরিবার।

কিয়েশলার মা বলেন, আমার মেয়ে শুধু ফেলিক্সকে ভালোবেসেছিল। সে মা হতে চেয়েছিল। কিন্তু খুনি ফেলিক্স তাকে নির্দয়ভাবে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।

কিয়েশলার এমন নির্মম পরিণতিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পুরো পয়ের্তোরিকা। তিওদোরো মসকোস ব্রিজে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। ফেলিক্সের শাস্তির দাবিতে আরো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। কিয়েশলাকে হত্যার পর নিজেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন ফেলিক্স। তবে, হত্যার কথা স্বীকার করেননি তিনি।

টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে

এই সাইটে বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি