তিন মাস বয়সী কন্যাকে কোলে নিয়ে পাতা কুড়িয়ে এনে ভাত রান্না না করায় স্ত্রী মোছলেমা বেগমকে (২২) চড় থাপ্পড় দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে স্বামী সুজন মিয়া (২৫)।
শুধু তাই নয়, মায়ের কোল থেকে ৩ মাসের কন্যা সানজিদা আক্তার সুরভীকে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে কন্যাকে ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যান মোছলেমা বেগম। কিন্তু একদিন পার হতে না হতেই দুগ্ধপোষ্য শিশুটির জন্য অস্থির হয়ে উঠেন মা মোছলেমা বেগম। উপায়ন্ত না দেখে যান থানায়। সবকিছু শুনে সঙ্গে সঙ্গে স্বামীর বাড়িতে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে এনে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মোজাইডাঙ্গা গ্রামে সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এবং এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের খরখরিয়া (হরিনারচর) গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে মোছলেমা বেগমের সাথে প্রায় আড়াই বছর আগে মোজাইডাঙ্গা গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে সুজন মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে সানজিদা আক্তার সুরভী নামের ৩ মাস বয়সী একটি কন্যা আছে।
এ অবস্থায় গত রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে স্ত্রীকে ভাত রান্না করে দিতে বলেন স্বামী। কিন্তু রান্না করার মতো খড়ি নেই বললে পাতা কুড়িয়ে এনে রান্না করতে বলেন। কিন্তু ৩ মাস বয়সী কন্যাকে কোলে নিয়ে পাতা কুড়ানো সম্ভব নয় বললে স্ত্রী মোছলেমা বেগমকে চড়-থাপ্পড় মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেন স্বামী সুজন মিয়া। সেই সাথে নিজের কাছে রেখে দেন কন্যাকে।
চিলমারী থানার এসআই আব্দুর রহিম জানান, সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে থানায় এসে মোছলেমা কন্যাকে ফিরে পাওয়ার আর্তি জানালে সঙ্গে সঙ্গে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কন্যা শিশুটিকে উদ্ধার করে রাতেই মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সংসারটি জোড়া লাগানোর জন্য মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) স্বামী এবং স্ত্রী দু’জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা সংসার করতে রাজী। এখন স্ত্রীকে তার স্বামীর বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সুত্রঃ সময় নিউজ