মুন্না শেখঃ
করোনার সংক্রমণ বাড়ায় অনলাইনেই উদযাপিত হলো স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের দ্বিতীয় ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।এ উপলক্ষে দুই দিনের আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি। যা লাইভ সম্প্রচার হয় সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুকপেজে। যাতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রথম দিনের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যড. ফারাহনাজ ফিরোজ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার, ফোরামের কনভেনর মোশাররফ হোসেনমামুন, কো-কনভেনর তপন মাহমুদ লিমন, সাবেক সভাপতি সাইফুল মাসুম, সভাপতি হাসান ওয়ালী। ফোরামের সহসভাপতিমিসবাহ হাসান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
ড. ফারাহনাজ ফিরোজ বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র এটা ছিল না যে এই ফোরাম বিশ্ববিদ্যালয়কে উপস্থাপন করবে, আমাদের মূল ভাবনা ছিল, ফোরামের সদস্যরা এখান থেকে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে, কিছু শিখতে পারবে। তবে, আমি আশাকরছি, ফোরামের সদস্যরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক প্রচারের কাজকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অন্য আলোচকরা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার দুই বছরে নিজেদের সক্রিয়তা প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকফোরাম। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সাংবাদিক সংগঠনসমূহের মধ্যে এখন সুপরিচিত এই নাম। পেশাদার সাংবাদিকতারউন্নয়নে আগামীতেও গরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই ফোরাম।’
আজ (বুধবার) দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান সুপা সাদিয়া, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা রেহেনা আখতার, সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য নাসিম পাটোয়ারী, ফোরামের সভাপতি হাসান ওয়ালী, সহ-সভাপতি এসকে শাওন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিব জুবায়েদ সিয়াম, সাংগঠনিকসম্পাদক তানভীর সিদ্দিক টিপু, কার্যনির্বাহী সদস্য রায়হান খান আকাশ, সদস্য জাকিউর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেনকার্যনির্বাহী সদস্য সাজিয়া আফরিন সৃষ্টি।
অনুষ্ঠানে সুপা সাদিয়া বলেন, ‘কোনো কিছু প্রতিষ্ঠা করা সহজ কিন্তু ধরে রাখা অনেক কঠিন। নিজেকে তৈরি করে আরো ভালকাজ করে যেতে হবে। নবীণ সাংবাদিকদের ভালো কাজের মাধ্যমে ভবিষ্যতে ভালো সাংবাদিক হতে হবে। আমার বিশ্বাস, স্টামফোর্ড সাংবাদিক ফোরাম দক্ষ নেতৃত্বে আরও অনেকদূর যাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা রেহেনা আখতার বলেন, ‘এই ফোরাম অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পার করে এই জায়গায় এসেছে।আমার শুভকামনা থাকলো গঠনমূলক সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত থেকে যেন শিক্ষার্থীরা আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে পারে।’
এই সময় গণমাধ্যমে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রায় দুই’শ শিক্ষার্থী নিয়ে ‘নৈশভোজ ও মিলনমেলা’র ভূয়সী প্রশংসা করেনআলোচকরা। তাঁরা বলেন, হাটি-হাটি, পা-পা করে তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করলো স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরাম।প্রতিষ্ঠার দুই বছরে প্রতিযোগিতামূলক সকল কর্মকাণ্ডে উত্তীর্ণ হয়ে এখন সাফল্যের চূড়ায় অবস্থান করছে সংগঠনটি।আগামীদিনের সাংবাদিকতার গুণগত মান উন্নয়নে ফোরামটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দুই দিনের আয়োজন প্রসঙ্গে সভাপতি হাসান ওয়ালী বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের সব আয়োজন ভেস্তেগেছে। তারপরও অনলাইনেই আমাদের অভিভাবকরা কথা বলেছেন, প্রতিষ্ঠাকলীন সদস্যরা পরামর্শ দিয়েছেন- যা আমাদেরঅনুপ্রাণিত করেছে। সারাদেশের ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা যেভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তা আমাদের আনন্দিত করেছে।একইসংগে দায়িত্বও বাড়িয়ে দিয়েছে। সবার পরামর্শ নিয়েই সাংবাদিক ফোরাম এগিয়ে যাবে। সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবংবিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক প্রচারে সাংবাদিক ফোরাম অতীতের মতো কাজ করে যাবে। সবাইকে সাথে নিয়েই বন্ধুর এই পথ পাড়িদেব আমরা।