দুই দশক আগে নির্বাচনী সহিংসতায় শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতা হাবীবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শফিক হোসাইন রোববার আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ছয় আসামি হলেন- শহীদ কোতোয়াল, শহীদ তালুকদার, শাহীন কোতোয়াল, শফিক কোতোয়াল, মজিবুর রহমান ও সোলেমান সর্দার। এছাড়া বাবুল তালুকদার, ডাবলু তালকুদার, বাবুল খান ও টোকাই রশিদকে যাজ্জীবন কারদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে- অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে তাদের কারাগারে থাকতে হবে।
আসামিদের মধ্যে দুই বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে মণ্টু তালুকদার, আসলাম সর্দার ও জাকির হোসেন মঞ্জুর। জীবিত আসামিদের বাকি সবাই খালাস পেয়েছেন।
এ মামলার ৫৩ আসমির মধ্যে তিনজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে ৩৭ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। শরীয়তপুরের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা কেএম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গসহ তিন আসামি বিচার চলাকালেই মারা যান।
সংসদ নির্বাচনের উত্তেজনার মধ্যে ২০০১ সালের ৫ অক্টোবর শরীয়তপুরের জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি হাবীবুর রহমান এবং তার ভাই মনির হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হাবীবুর রহমান ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার ভাই মনির হোসেন ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ওই হত্যাকাণ্ডের পর হাবীবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত রহমান বাদী হয়ে সাবেক সাংসদ আওরঙ্গসহ ৫৫ জনকে আসামি করে এই হত্যা মামলা করেন।
সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি